নগরে নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনসহ সিমেন্ট ক্রসিংয়ে নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান তিনি। এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নগরে চলমান অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ে শেষ করার তাগাদা দেন।
নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটস্থ টানেল রোড পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রকল্পটটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদন পায়। বর্তমানে চার ভাগে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে সি বিচ এলাকার টানেলের কাছ থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত প্রথম অংশে এবং সিমেন্ট ক্রসিং থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত অংশে পর্যায়ের কাজ চলছে। তৃতীয় অংশে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় এবং চতুর্থ অংশে বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা জটিলতা তৈরি আছে।
এদিকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে সি বিচ থেকে এলাকা থেকে গার্ডার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। সিডিএ’র টার্গেট, প্রতিদিন একটা করে গার্ডার স্থাপন করা। প্রতিটি একশ’ থেকে একশ বিশ টন ওজনের গার্ডার স্থাপনে ব্যবহার হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। এসব গার্ডার ৩৫ মিটার থেকে ৪৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৫৪ ফুট প্রস্থ। প্রতিটি স্প্যানে (এক পিলার থেকে অপর পিলারের দূরত্ব) আটটি করে গার্ডার স্থাপন করা হবে।
এদিকে গতকাল পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পরিবহন যাতায়াত সহজ হবে। তাছাড়া যানজটের ভোগান্তি থেকে বিমানের যাত্রীরা মুক্তি পাবেন।