ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শুরুতে বন্দর এলাকার নিমতলা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে চালু করে দেয়া হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের ওই অংশটি চালু করে দেয়ার জন্য রাতে দিনে কাজ চলছে। কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেল চালু করার সাথে সাথে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দশ কিলোমিটার অংশ চালু করে দেয়া হলে নগরীর যান চলাচলে বৈপ্লবিক গতিশীলতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা বিচ পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করছে। প্রকল্পটি এতদিনে চালু হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও নানামুখী জটিলতা এবং প্রতিকূলতা কাটাতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এতে করে নগরীর অন্যতম এই মেগাপ্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে চালু হয়নি। অপরদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজকে কেন্দ্র করে নগরীর প্রধান সড়ক শেখ মুজিব রোড থেকে শুরু করে বিমানবন্দর সড়কের প্রায় পুরোটাই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নগরী থেকে ইপিজেড কিংবা এয়ারপোর্ট যেতে মানুষের দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিকল্প সড়ক ধরে পতেঙ্গা এলাকায় যাতায়াত করেন। ফৌজদারহাট-পতেঙ্গা আউটার রিং রোড ধরে প্রতিদিনই শত শত গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল চালু হলে এই রাস্তাটিতে শহরের গাড়ির চাপ নতুন জটিলতার সৃষ্টি করবে। তাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ টানেল চালুর পাশাপাশি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্ধেক অংশ চালু করে দেয়ার লক্ষ্যে জোরে শোরে কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে কাঠগড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে ৮ কিলোমিটারের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের আর মাত্র দুই কিলোমিটার অংশের কাজ সম্পন্ন হলেই নিমতলা থেকে কাঠগড় পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। নিমতলায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চার লেনে উঠানামার র্যাম্প নামানো হবে। যা পোর্ট কানেক্টিং রোডের সাথে যুক্ত হবে। এরফলে পোর্ট কানেক্টিং রোড ধরে শহর থেকে যাওয়া যে কোনো গাড়ি নিমতলায় গিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে কাঠগড়ে গিয়ে নামতে পারবে। একইভাবে বিমানবন্দর কিংবা পতেঙ্গা থেকে আসা যে কোনো গাড়ি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নিমতলা হয়ে পোর্ট কানেক্টিং রোডে নেমে অলংকার কিংবা বড়পোল হয়ে আগ্রাবাস এক্সেস রোড ধরে শহরের কেন্দ্রস্থলে চলে আসতে পারবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১০ কিলোমিটার অংশ খুলে দেয়ার জন্য রাতে দিনে কাজ চলছে বলে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক এবং সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেবো। এটি চালু করে দেয়া হলে বন্দর এবং সন্নিহিত এলাকার যান চলাচলে ব্যাপক গতিশীলতা আসবে।