ঋণপত্র বা এলসি খোলার পর সময়মত অর্থ পরিশোধ না করলে সেই ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এলসির বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোর গড়িমসি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর আহসান এইচ মনসুরের হুঁশিয়ারির পরদিনই এমন নির্দেশনা এল। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এর আগে সোমবার ১৭টি ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে সভায় গভর্নর ব্যাংকগুলোকে এলসি খোলার পর অর্থ পরিশোধে দেরি না করার নির্দেশ দেন।
চাহিদা অনুযায়ী ডলার না পাওয়ায় বছর দুয়েক ধরে এলসি খোলা ও সময়মত সেই এলসির অর্থ পরিশোধ নিয়ে সমস্যায় পড়ে ব্যাংকগুলো। ডলার সংকটে বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী, বড় কিংবা ছোট কোম্পানির পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এলসি খোলা ও পরিশোধ নিয়ে জটিলতায় পড়েন। এখন ডলারের সরবরাহ বাড়লেও অনেক ব্যাংক যথাসময়ে এলসির অর্থ পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ বলছে কোনো কোনো ব্যাংক সময়মত এলসির অর্থ পরিশোধ করছে না। অথচ বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। ব্যাংকগুলোতেও ডলারের অভাব নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করল। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সময়মত এলসির বিল পরিশোধ না করায় দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিদেশের ব্যাংকগুলোর সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থায় কোনো ব্যাংকের দেরি করে অর্থ পরশোধের মত কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে সার্কুলারে বলা হয়, এলসি খোলার কাজে জড়িত বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ডিলারের (এডি) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সার্কুলারে এলসি খোলার ক্ষেত্রে আগের রেকর্ড যাচাই–বাছাই করে সতর্কতা অবলম্বন করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া এলসি খোলার সময় গ্রাহকদের ক্রেডিট লাইনের সীমা যাচাই বাছাই করতে বলা হয়েছে।