লিওনেল মেসি। ফুটবল কেরিয়ারের শেষ বেলায় জ্বলে উঠেছেন। গোল করছেন। গোল করাচ্ছেন। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে মরিয়া তিনি। কিন্তু যে দলের বিরুদ্ধে তিনি ফাইনাল খেলবেন সেই দলে রয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলছেন। তাতেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনে বিশ্ব কাঁপাবেন। মেসি, রোনাল্ডো উত্তর যুগে বিশ্ব ফুটবলের পোস্টার বয় তিনিই। আজকের ফাইনালে তার দিকেও থাকবে দৃষ্টি।
মেসি এবং এমবাপের বয়সের তফাত ১২ বছর। মেসির রয়েছে অভিজ্ঞতা, যার বলে বলীয়ান হয়ে একের পর এক বাধা অতিক্রম করছেন তিনি। সেই সঙ্গে রয়েছে পায়ের জাদুকরী কাজ। ফলে একের পর এক প্রতিপক্ষ তাকে জোনাল মার্কিং করে রেখেও আটকাতে পারেননি। ৩৫ বছরের মেসিকে অবশ্য গতিতে টেক্কা দিচ্ছেন ২৩ বছরের এমবাপে। ফরাসি ফুটবলার বল ধরলেই প্রতিপক্ষের রক্ষণ কেঁপে যাচ্ছে। মাঠের মধ্যে বল নিয়ে তার দৌড় মনে করিয়ে দিচ্ছে উসেইন বোল্টকে। কী ভয়ঙ্কর! এই গতিতে বার বার প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে গোল করেছেন তিনি।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২, পাঁচটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মেসি এখনও পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ১১টি। অন্য দিকে ২০১৮ ও ২০২২, মাত্র দু’টি বিশ্বকাপে ১৩টি ম্যাচে ৯টি গোল করে ফেলেছেন এমবাপে। যে গতিতে এমবাপে এগোচ্ছেন, তাতে বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ গোলদাতা জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজকে (১৬টি গোল) টপকাতে তার হয়তো আর একটি বিশ্বকাপ লাগবে। সেখানে এখনও অন্তত তিনটি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবেন এমবাপে।
গত বারের বিশ্বকাপেই পরিচিতি এমবাপের। এ বারের বিশ্বকাপে তিনি তারকা। মেসি, রোনাল্ডোদের পরে তাকে নিয়েই সব থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে।