প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ঋণের ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি আসনের (চট্টগ্রাম–২) সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই পুত্রসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার কমিশন থেকে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ–পরিচালক (জন সংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
দুই এমপি পুত্র সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারী ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন– প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম খালেদ, তার ছেলে কে এম রাকিব হোসেন এবং আত্মীয় খন্দকার মো. মোস্তাহিদ, বর্তমান পরিচালক মুসলিমা শিরিন, জেড এম কায়সার, মো. অলিউজ্জামান, এম শাহাদত হোসেন কিরন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গুলশান আরা হাফিজ ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট তাজরিয়ান হক, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান, সাবেক উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান কবির খান, সাবেক এঙিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেজাউল হক। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন–২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে দুদক। পরে সংস্থাটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলে ও প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ অন্যরা মিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারীর নামে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী মহাজোটের প্রার্থী হয়ে চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে পর পর দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।