গত বৃহষ্পতিবার শেষ হয়েছে বিপিএলের নবম আসর। এই আসরে ব্যাটে এবং বলে রাজত্ব করেছে দেশি ক্রিকেটাররাই। যদিও বিদেশী সেরা ক্রিকেটাররা আসেনি এবারের বিপিএলে তেমন অভিযোগ উঠলেও শেষ দিকে বেশ কয়েকজন সেরা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটার এসেছিল। তবে পুরো টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়িয়েছেন দেশি ক্রিকেটাররা। আসরের সেরা পাঁচ ব্যাটারের সবাই বাংলাদেশী। আর সেরা পাঁচ বোলারের চার জনই বাংলাদেশী।
এদের মধ্যে তরুণরাই দ্যুতি ছড়িয়েছে বেশি। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৬.৭৪ স্ট্রাইক রেটে, ৩৯.৬৯ গড়ে ১৫ ইনিংসে ৪টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৫১৬ রান করেছেন তিনি। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় ও প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে এক মৌসুমে ৫শ
বা তার বেশি রান করেছেন শান্ত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন রংপুর রাইডার্সের ওপেনার রনি তালুকদার। ১৩ ইনিংসে ৩টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪২৫ রান করেছেন রনি। তৃতীয় স্থানে সিলেটের তৌহিদ হৃদয়। পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪০৩ রান করেছেন ১২ ইনিংসে ব্যাট করা হৃদয়। এই তালিকায় পরের দুটি স্থানে
আছেন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার লিটন দাস ও বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। লিটন ১৩ ইনিংসে ৩টি অর্ধশতকে ৩৭৯ রান ও সাকিব ১১ ইনিংসে ৩টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৭৫ রান করেন।
বোলিংয়েও বাংলাদেশীদের রাজত্ব। নবম আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁ হাতি স্পিনার তানভীর ১২ ইনিংসে ও রংপুর রাইডার্সের পেসার হাসান ১৪ ইনিংসে ১৭টি করে উইকেট নেন। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে ৫ লাখ টাকা জিতেছেন তানভীর ও হাসান। বরিশালের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট এবারের আসরে তানভীরের সেরা বোলিং ফিগার। এদিকে প্লে অফ থেকে রংপুর বিদায় নিলেও সেরা বোলার হয়েছেন হাসান মাহমুদ। লিগ পর্বে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১২ রানে ৩ উইকেট শিকার ছিল তার সেরা বোলিং ফিগার। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ১৬ উইকেট নিয়ে ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। লিগ পর্বে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রানে ৪ উইকেট শিকার ছিল নাসিরের সেরা বোলিং ফিগার। ১৫ উইকেট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন রংপুরের আফগানিস্তানী পেসার আজমতুল্লাহ ওমারজাই। উইকেট শিকারে পঞ্চমস্থানে আছেন রানার্স–আপ হওয়া সিলেটের পেসার রুবেল হোসেন। ৮ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়েছেন রুবেল।
