করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এবারও পাহাড়ে উদযাপিত হবে না বৈসাবি উৎসব। প্রতিবছর চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। পাহাড়ি পাড়াগুলোতে উৎসবের কোনো আয়োজন নেই। বাতিল করা হয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের বর্ণাঢ্য র্যালি এবং মারমাদের পানি খেলা। এ অবস্থায় ঘরোয়াভাবে পালিত হবে বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা।
পাহাড়ে প্রতিবছর বৈসাবি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন থাকে। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের বিজুর প্রস্তুতি এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা নানা আয়োজনে বরণ করে নেয় বৈসাবিকে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা পল্লীতে শুরু হয় বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।
খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী নদীর জলে দেবী গঙ্গার উদ্দেশে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে সূচিত হয় নতুন বছরকে বরণ করার মহা আয়োজন। কিন্ত এবার এসব কিছুই হচ্ছে না। খাগড়াছড়ির স্থানীয় একটি পাড়ার কার্বারি মধুমঙ্গল ত্রিপুরা বলেন, আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি নিতাম। কিন্ত তা হচ্ছে না। করোনার কারণে সব অনুষ্ঠান বাতিল। পাড়ায় পাড়ায় বৈসাবি বরণের নানা পরিকল্পনা ছিল। তবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে অনেক আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউটের পরিচালক জিতেন চাকমা বলেন, করোনাকালীন সময়ে সামাজিকভাবে বৈসাবি উদযাপিত হলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। একই কথা বলেন
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলও।