দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বায়েজিদের পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজায় নাগিন পাহাড়ের আশেপাশে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ ও প্লট তৈরির অপরাধে এবার ৭ জনকে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল রোববার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত শুনানিতে কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী এ আদেশ দেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আজাদীতে ‘নাগিন পাহাড় বাঁচবে না?; রাতের আঁধারে মাটি নিয়ে যান প্রভাবশালীরা, পাহাড়ি ভূমিতে তৈরি হচ্ছে ভবন’ শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিক এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করে পাহাড় কাটার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও ফৌজদারি মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৬ নভেম্বর পূর্ব নাসিরাবাদ মৌজার নাগিন পাহাড় এলাকায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয় অভিযান পরিচালনাকারী টিম। এর মধ্যে ১৮ নভেম্বর ৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং শুনানিতে হাজির না হওয়ায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। অন্যদিকে গতকালের শুনানিতে ৭ জনকে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে মো. আবু ইউসুফ মিয়া ও মো. ইলিয়াস চৌধুরীকে ৭৫ হাজার টাকা, রোকেয়া সুলতানাকে ৬০ হাজার টাকা, মো. শাহজান ফরাজীকে ৯০ হাজার টাকা, আমির হোসেনকে ৮০ হাজার টাকা, মোহাম্মদ ইদ্রিসকে ৭০ হাজার টাকা, আমির হোসেন ও আবদুল ছাত্তারকে ৮০ হাজার টাকা, হেলাল উদ্দিনকে ৬০ হাজার টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) আরোপ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী আজাদীকে বলেন, ঐতিহ্যবাহী নাগিন পাহাড় কেটে অনেক সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। ওখানে পাহাড়-টিলা শ্রেণির ভূমিতে লোকজন প্লট বানিয়ে বড় বড় দালাল নির্মাণ করেছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এনফোর্সমেন্ট চালিয়েছি। গত সপ্তাহেও অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের মধ্য থেকে দুই ধাপে জরিমানা করা হয়েছে। যারা শুনানিতে হাজির হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।