এক বছর পর দলে ফিরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে কার্যকর এক ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ফেরাটা তাই সুখকরই হয়েছে বলা যায় শামীম হোসেনের জন্য। এবার প্রাপ্তির পরিধি আরও বাড়িয়ে নিতে চান তিনি। প্রথম ম্যাচে জয়ের আনন্দকে বয়ে নিতে চান সিরিজ জয়ের উচ্ছ্বাসে। টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারানোর পর এবার সিরিজ জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়কদের একজন ছিলেন শামীম। ইনিংসটি এমনিতে ছোট, তবে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধরনই এমন যে, ১৩ বলে ২৭ রানের সেই ইনিংসও আসলে ম্যাচের প্রেক্ষাপটে অনেক বড়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার মূল পরিচয় ‘টি–টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। তবে জাতীয় দলে এখনও জায়গা পাকা করতে লড়ছেন ২৪ বছর বয়সী আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। এবারের আগে তাকে সবশেষ দেখা গেছে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে। ওই সফরের আগে গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে করেন ২৫ বলে ৩৩ ও অপরাজিত ৭। এর আগের সিরিজের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৪২ বলে ৫১। ওই সিরিজেই আরেক ম্যাচে করেন ২০ বলে ৩০ রান। কিন্তু বছরের শেষে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে একটি ম্যাচেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর দলের বাইরে ছিটকে পড়েন এক বছরের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফেরার ম্যাচটি তাই তার জন্য ছিল চ্যালেঞ্জের। বিসিবির ভিডিও বার্তায় শামীম বললেন, পরীক্ষায় উতরাতে পেরে দারুণ খুশি তিনি। এক বছর পর এসেছি, অনেক ভালো লেগেছে। এই ইনিংসটা অনেক দরকার ছিল আমার জন্য। এমনকি আমার দলের জন্যও অনেক দরকার ছিল। অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে দলের জন্য ভালো কিছু করব ও দলকে ভালো কিছু দিতে পারব। সেন্ট ভিনসেন্টে সেদিন ১৫ ওভারের পর ক্রিজে যান শামীম। বাংলাদেশ তখন ৫ উইকেট হারিয়েছে। রান রেট মাত্র ছয়ের একটু ওপরে। সেখান থেকে শামীমের ক্যামিও ইনিংস আর শেখ মেহেদি হাসানের সঙ্গে ২৯ বলে ৪৯ রানের জুটি দলকে নিয়ে যায় দেড়শর কাছে। ৭ রানে জয়ের ম্যাচে ওই জুটির অবদান বোঝাই যায় পরিষ্কার। শামীম বলেন ক্রিজে যাওয়ার পর তার ভাবনা ছিল কেবল দ্রুত রান করা। যে ধরনের উইকেট ছিল আর আমি উইকেটে যাওয়ার পর পরিস্থিতির যা চাহিদা ছিল, আমার মনে হচ্ছিল যে, আমাকে রান করতে হবে। আমি রান করলে দল একটা ভালো অবস্থানে যাবে। এটাই ছিল আমার পরিকল্পনা। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের ভাবনায় এখন কেবল সিরিজ জয়। দলের সেই লক্ষ্য প্রতিফলিত হলো শামীমের কণ্ঠে। যেহেতু আমরা তিন ম্যাচের একটিতে জিতে গেছি, এখনও একটু এগিয়ে আছি। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে সিরিজটা জয় করার। আপনারা জানেন যে, টি–টোয়েন্টিতে ওরা স্পেশালিস্ট ও অনেক ভালো। তবে আশা করি আরেকটা ম্যাচ জিতে আমরা সিরিজ জিততে পারব।