কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছিলেন তার বোন; আর এখন তার ভাই হত্যা মামলার অভিযোগ নিয়ে গেলেন আদালতে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া আসামি করেছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে।
অন্যদিকে, মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ হত্যামামলায় আসামি করেছেন হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে (শারুন চৌধুরী)। বিডিনিউজ
মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর আজ রবিবার (২ মে) আশিকুর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হত্যা মামলার আবেদন নিয়ে যান।
মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়া আবেদনটি নিলেও মুনিয়ার বোনের করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার তদন্ত চলায় আপাতত এটির কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
আদালতের পেশকার মাসুদ পারভেজ বলেন, “আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঐ মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। এ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩০২ ধারার হত্যা মামলার আবেদনটি স্থগিত থাকবে।”
হত্যামামলার আবেদনে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাতে শারুন কীভাবে জড়িত ছিল, তার বিবরণ জানা যায়নি।
এ বিষয়ে আশিকুরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার আইনজীবী সালাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালালেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার প্রতিক্রিয়ায় শারুন বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপ ইস্যুটাকে ভিন্ন খাতে নিতে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি এই ঘটনায় সম্পৃক্ত নই। আইন এবং বিচারের প্রতি আমার শতভাগ আস্থা আছে। আমি দেড় মাস ধরে চট্টগ্রামে আছি, আমি কীভাবে এই ঘটনায় জড়িত?”
কুমিল্লার বাসিন্দা ঢাকার এক কলেজের ছাত্রী মুনিয়াকে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।