উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বাহরাইনকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের নারীরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল খেলে বাহরাইনকে উড়িয়ে দেওয়া মেয়েদের প্রশংসায় ভাসালেন পিটার জেমস বাটলার। এই জয়ে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ। উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে গত রোববার বাহরাইনকে ৭–০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলার মেয়েরা। আগামীকাল বুধবার মেয়েদের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মিয়ানমার। যারা বাছাই শুরু করেছে তুর্কমেনিস্তানকে ৮–০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দিয়ে । গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মিয়ানমার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও তারা এগিয়ে। মিয়ানমার যেখানে ৫৫তম স্থানে বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ১২৮তম। পাঁচ বছর আগের সবশেষ দেখায় মিয়ানমারের কাছে ৫–০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবারের মতো এবারও ম্যাচ ইয়াংগুনের একই মাঠে। তবে এবার ভিন্ন গল্প লিখতে চান বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ বাটলার। তিনি বলেণ আমি মনে করি মিয়ানমারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচগুলোই খেলতে চাইবে মেয়েরা। কারো প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছি না। কিন্তু আমি সবসময় বলেছি, এ ধরনের কঠিন ম্যাচ খেলতে চাই। বাহরাইন সমপ্রতি সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ড্র করে এসেছিল।
কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, মিয়ানমার আমাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে। একেবারেই ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। তারা টেকনিক্যালি দারুণ। সমর্থকদেরও পাশে পাবে। কিন্তু আমরা তাদের জন্য প্রস্তুত। আমি মনে করি আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। বাহরাইন ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। গোলের আনন্দে তার সঙ্গী হয়েছে ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, কোহাতি কিসকু ও মুনকি আক্তারও। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান সফরে প্রত্যাশিত গোল না মেলায় যারা সমালোচনা করেছিলেন, তাদের প্রতিও উষ্মা দেখালেন বাটলার। তিনি বলেণ আমি জানি, মানুষ অনেক সময় গোল না পাওয়ার কারণে সমালোচনা করে। কিন্তু আমি সবসময় জানতাম গোল আসবে। বিশেষ করে এই দলটায় তহুরা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), ঋতুপর্ণা, মনিকার চাকমার মতো গতিময় খেলোয়াড় আছে। মারিয়া মান্দা আছে এবং আমি মনে করে সে আজ দুর্দান্ত ছিল। সবাই দুর্দান্ত ছিল। নির্দিষ্ট কারো নাম নিতে পছন্দ করি না। আমার মনে হয় মেয়েরা আসলেই দেশকে গর্বিত করেছে। বড় জয়ে দারুণ খুশি অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রীতিও। প্রথমবারের মতো বাছাইয়ের বৈতরণী পেরুতে গোল ব্যবধান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সেটা জানা আছে তারও। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বলেণ এই জয়ের অনুভূতি অবশ্যই ভালো। প্রথম ম্যাচে আমাদের লক্ষ্য ছিল জেতা। গোল ব্যবধান বাড়ানোর কথা ছিল। আমরা সে চেষ্টাই করেছি। সেখানে আমরা সফল হয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য মিয়ানমার ম্যাচ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে আমাদের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে।