রাঙ্গুনিয়ায় চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এবার মারা গেছে অগ্নিদগ্ধ শিশু রোদসী দে (৬)। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। ওই হাসপাতালে এখানো চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার মা রূম্পা দে (৩০)। নিহত রোদসী চন্দ্রঘোনা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের নিজ বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরী ইউনিয়নে হলেও বাবা রাজু কুমার দে’র চাকুরির সুবাদে তারা চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। গত ২৬ আগস্ট উপজেলার চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়েছিলেন শিশু রোদসী এবং তার মাসহ পাশের বাসার বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ। তাদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিল কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইন্দ্রলাল তঞ্চঙ্গ্যা (৫১)।
শিশু রোদোশি দে’র মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ আজগর বলেন, রোদোশির বাবা একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরির সুবাদে তারা চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকার দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় থাকতো।
তিনি আরও বলেন, গত ২৬ আগস্ট দিবাগত রাত ৩ টার দিকে চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকায় তাদের বাসাবাড়ির পাশের কলোনলিতে আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে তাদের বিল্ডিংয়ে লাগার শংকায় তারা সবাই নেমে গিয়ে নিরাপদে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিল্ডিং থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হন সবাই। তাৎক্ষণিক সবাইকে প্রথমে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ইউপি সচিব ইন্দ্রলাল তঞ্চঙ্গ্যা মারা যান। অন্যদিকে রোদসী দে’র শরীরের ৪৫% এবং তার মা রূম্পা দে’র ৩০% পুড়ে যাওয়ায় তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে সেখানে এবার মারা যান শিশু রোদোশি। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।