বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত তিন দলের সিরিজে চট্টগ্রামের যে কয়জন ক্রিকেটার খেলছেন তাদের মধ্যে সবচাইতে সফল ইরফান শুক্কুর। যদিও তামিম, মোমিনুল, রাব্বি কিংবা নাঈমের মত জাতীয় তারকা নন ইরফান। তারপরও সফল ব্যাটসম্যানদের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ইরফানের নাম। টুর্নামেন্ট প্রায় শেষের দিকে এলেও গতকালই প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের আরেক ক্রিকেটার ইয়াসির আলি রাব্বি। আর সুযোগ পেয়েই সেটাকে বেশ ভাল ভাবেই কাজে লাগালেন চট্টগ্রামের এই তরুণ। তামিম একাদশের হয়ে খেলতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে দলকে টেনে নিয়ে গেলেন রাব্বি। খেললেন ৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যে ইনিংসের উপর ভর করে তামিম ইকবাল একাদশ সংগ্রহ করে ২২১ রান। শুধু তাই নয় ১৭ রানে যখন দলের সেরা তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন সাজ ঘরে তখন হাল ধরেন রাব্বি। মাহিদুল ইসলামকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১১১ রানের চমৎকার এক জুটি। যার উপর ভর করে তামিমের দল পৌঁছে যায় ২২১ রানে। রাব্বি তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করে দারুণভাবে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে ৮১ বলে করেছেন ৬২ রান। যেখানে তিনি চার মেরেছেন ৫টি আর ছক্কা মেরেছেন একটি। অথচ আগের দুই ম্যাচে এই তরুণকে মাঠে নামায়নি তার দল। কিন্তু যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই রাব্বি দেখিয়ে দিলেন প্রতিভার ঝলক। চেনালেন তার জাত। বলা যায় আগের দুই ম্যাচে বসিয়ে রাখার একটা সমুচিত জবাবও যেন দিলেন চট্টগ্রামের এই তরুণ। চট্টগ্রামের যে কয়জন ক্রিকেটার জাতীয় দলে আছেন কিংবা জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ইয়াসির আলি রাব্বি। যখনই মাঠে নামার সুযোগ আসে তখনই সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন রাব্বি। যেমনটি করলেন গতকাল আরো একবার। এখন নিশ্চয় রাব্বিকে আর বসিয়ে রাখার চেষ্টা করবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে রাব্বি-ইরফানদের ব্যাট হাসলেও টুর্নামেন্টে এখনো হাসেনি তামিম-মোমিনুল-দিপুদের ব্যাট। চট্টগ্রামের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা তাদের ব্যাটও হাসবে।