বৃষ্টির অজুহাতে এবার বাড়ল সবজির দাম। গত সপ্তাহে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও এই দুইদিনে আবারও বেড়েছে। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেই সবজি ব্যবসায়ীরা এটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় মূলত এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও গতকাল নগরীর প্রায় সব বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। আলু বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে, তাই সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতকালীন সবজি ফুলকপি সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, কাকরল ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা এবং বাঁধাকপি ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা এবং মূলা ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, শিম ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, শসা ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে ৯০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পটল ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা, টমেটো দেশি ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা, ভারতীয় টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে ৭৫ টাকা এবং পাকা মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা, বেগুন ১০ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, ঢেড়শ ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা এবং লাউ ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসেন আহমদ জানান, বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। একইভাবে কমেছে স্থানীয় উপজেলা থেকেও সবজির সরবরাহ। নগরীতে চন্দনাইশ, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড এবং বাঁশখালী থেকে সবজি আসে বেশি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তিনদিন ধরে বেপারিরা সবজি নিয়ে আসতে পারছেন না।
চাকরিজীবী মোহাম্মদ হাসান জানান, গত কয়েক মাস ধরে সব ধরনের সবজির দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সব সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে। জীবনযাপন ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। উল্টো করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান বাজারে সব পণ্যের দাম বাড়তি। সংসার চালাতে ভালোই হিমশিম খেতে হচ্ছে।