চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের উত্তেজনা অনেকটাই শেষ হয়ে গেছে গত শনিবার। কারণ সেদিন লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা। ফলে লিগের আকর্ষণ এখন তেমন একটা নেই বললেই চলে। রেলিগেশনে উত্তেজনা থাকলেও মাঝখানের দল গুলো কেবলই আনুষ্ঠানিকতা সারছে। যেমনটি গতকালের আগ্রাবাদ নওজোয়ান এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সস্থার মধ্যকার ম্যাচটি। এই দুই দলের কারোই চ্যাম্পিয়ন কিংবা রানার্স আপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও ম্যাচটিতে উত্তেজনা ছড়ালো। আর সে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ৮ রানে জিতল আগ্রাবাদ নওজোয়ান। আগের ম্যাচে একেবারে তীরে এসেও ইস্পাহানীর কাছে ১ উইকেটে হেরেছিল নওজোয়ান। তবে গতকাল জয় তুলে নিয়েছে সে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটিতে। ১০ ম্যাচের ৬টিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে বন্দর দল। অপরদিকে সমান ম্যাচে ৫ জয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ট স্থানে রয়েছে আগ্রাবাদ নওজোয়ান ক্লাব।
সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল নওজোয়ান। দুই ওপেনার সাব্বির এবং হিমেল ৩৪ রান যোগ করেছিলেন। ৯ রান করে ফিরেন হিমেল। দ্বিতীয় উইকেটে ইফতেখার সাজ্জাদ রনির সাথে ৮২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছিলেন সাব্বির। ৯০ বলে ৬৫ রান করা সাব্বিরকে রান আউট হয়ে ফিরলে ভাঙ্গে এ জুটি। মিনহাজ সৌরভের সাথে আরো ৩৬ রান যোগ করেন রনি। ৯ রান করে ফিরেন সৌরভ। দলকে ১৭০ রানে পৌঁছে দিয়ে ৭২ রান করে ফিরেন রনি। এরপর বন্দর দলের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর কারণে ভাল শুরুর পরও বড় স্কোর গড়তে পারেনি নওজোয়ান। শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানে থামে তাদের ইনিংস। শাহাদাত ২১, মিনহাজ সাকিব ২৪ এবং মনজুরুল করেন ১০ রান। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তন্ময় পাটোয়ারী এবং সাজেদুল আলম রিফাত।
১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বন্দর ক্রীড়া সংস্থার দুই ওপেনার ফখরুল এবং জসিম। দুজন ১০১ রান তুলে নেন। কিন্তু পরপর দুই বলে দুজনই ফিরেন। ফখরুল ৪৮ বলে ৪০ রান করে ফিরলেও জসিম ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ৫৮ রান। তিন রান পর ফিরেন মেহেদী হাসান। চতুর্থ উইকেটে ইকবাল বাহার এবং জাহিদুজ্জামান মিলে ৫০ রানের জুটি গড়ে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রন তখনো বেশ লালভাবেই ছিল বন্দর ক্রীড়া সংস্থার হাতে। ৩০ বলে ২৪ রান করে ফিরেন জাহিদ। এরপর দলকে ১৮৩ রানে পৌছে দিয়ে ৫৪ বলে ৪৩ রান করে ইকবাল ফিরলে শুরু হয় বন্দর দলের বিপর্যয়। শেষ ওভারে বন্দর দলের দরকার ছিল ৯ রানের। হাতে কেবল একটি উইকেট। নওজোয়ান অধিনায়ক রনির করা ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন হাবিবুল্লাহ নিশাদ। আর তাতেই ৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বন্দর ক্রীড়া সংস্থাকে। আগ্রাবাদ নওজোয়ানের পক্ষে ৩১ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন মনজুরুল আলম। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাজহারুল এবং রনি।