নারী এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দারুণ প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ইতিহাস গড়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় নারী ফুটবল দল। এরই মধ্যে দেশে ফেরার সাথে সাথেই নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা প্রদান করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু এতবড় সাফল্যের পরও খেলোয়াড়দের বিশ্রাম নেই। ঋতুপর্ণা চাকমা ও মনিকা চাকমা রোববার গভীর রাতে দেশে ফিরে সোমবার সকালেই ভুটান চলে গেছেন দেশটির ঘরোয়া ফুটবল খেলতে। ভুটান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও রূপনা চাকমাও। বাকিদেরও বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। এরই মধ্যে গতকাল থেকে আবার শুরু হয়ে গেছে নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প। মাত্র একদিন বিশ্রামের পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের মাঠে নেমে পড়েছেন আফঈদা খন্দকার প্রান্তিরা। এবারের মিশন সাফ অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। হাতে একদম সময় নেই। আগামী শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুরু হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ দলের শিরোপা ধরে রাখার লড়াই। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। এই টুর্নামেন্টের গত আসরের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও ভারত। এবার ভারত খেলছে না এই টুর্নামেন্টে। তাই বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও শ্রীলংকাকে নিয়ে হবে ডাবললিগ ভিত্তিক এই প্রতিযোগিতা। রাউন্ড রবীন লিগ পদ্ধতিতে ৬টি করে ম্যাচ খেলার পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলটি হবে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন। যদিও মিয়ানমার জয় করে ইতিহাস গড়া দলের সিংহভাগ ফুটবলারই থাকছেন না এই দলে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের সাথে মিয়ানমার সফর করে আসা অন্য যারা অনুর্ধ্ব–২০ দলে খেলবেন তারা হলেন স্বপ্না রানী, মুনকি আক্তার, জয়নব বিবি রিতা, স্বর্না রানী মন্ডল, মিলি আক্তার, উমেলহা মারমা, নবিরণ বেগম ও মোসাম্মাৎ সাগরকিা। বাকিরা নতুন যোগ দেবে এই দলের সাথে। যেহেতু ভারত নেই এবারের সাফ অনূর্ধ্ব–২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে তাই সন্দেহাতীতভাবে টুর্নামেন্টে ফেবারিট বাংলাদেশ দল। তার উপর নিজেদের মাঠে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২৯ ফুটবলার নিয়ে এরই মধ্যে গতকাল থেকে অনুর্ধ্ব–২০ দলের অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন দলটির কোচ পিটার বাটলার। পাশাপাশি অনুশীলন চলবে অনুর্ধ্ব–১৭ দলেরও। কাজেই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আসলে দম ফেলার কোন সুযোগ নেই। মায়ানমার জয় করে আসা নারী ফুটবলারদের আশাও তাই এখন অনেক উঁচুতে। এই টুর্নামেন্টে শিরোপা ধরে রাখা ছাড়া আর কিছু ভাবতে নারাজ বাংলাদেশের নারীরা। এখনো দুই দিন বাকি রয়েছে টুর্নামেন্টের। তাই দলে মায়ানমার জয়ীদের সাথে নতুন যোগ দেওয়া ফুটবলারদের মানিয়ে নিতে দুদিন সময় পাচ্ছে। তার উপর কোচ বাটলারের যাদুকরী অনুশীলনতো রয়েছেই। এমনিতেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সাফল্যের যেন শেষ নেই। বয়স ভিত্তিক ফুটবলে সাফে সেরা বাংলার নারীরা। এবারেও আরেকটি শিরোপা জিতে মুখিয়ে আছে নারী দল। সাফের শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশের নারীরা। তাছাড়া অনূর্ধ্ব২– সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এখন সেটা ধরে রাখাই প্রধান লক্ষ্য বাংলাদেশ নারী দলের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব–২০ দল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ১৩ জুলাই নেপালের বিপক্ষে।