এবার ধ্বংস করা হবে নিলাম অযোগ্য ১৮৮ কন্টেনার পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৮ অক্টোবর, ২০২১ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা ১৮৮ কন্টেনার বিভিন্ন ধরনের নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসযোগ্য পণ্যের তালিকায় রয়েছে-অ্যানিমেল ফিড, পেঁয়াজ, ফিস ফিড, কানাডিয়ান ক্যানুলা, মিট অ্যান্ড বোন মিল, আপেল, মাল্টা, ম্যান্ডারিন, মাছ, বিভিন্ন ধরণের শস্য বীজ এবং লিকুইড ড্রিংকস। এর আগে চলতি বছর নগরীর উত্তর হালিশহরের বে-টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় ২৯৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এবার ১৮৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংসের জন্য নতুন করে স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে। এছাড়া ধ্বংসের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোর সাথে সমন্বয় শেষে ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার একজন কর্মকর্তা।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। অন্যদিকে আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কন্টেনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কন্টেনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এসব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এসব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে এসব কন্টেনারের জন্য জট লেগে যায়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. আলী রেজা হায়দার বলেন, নিয়মিত নিলাম কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা ধ্বংস কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পণ্য ধ্বংস কমিটি ১৮৮ কন্টেনার নিলাম অযোগ্য কন্টেনার ধ্বংসের অনুমোদন দিয়েছে। এখন সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে সমন্বয় করে আমরা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করবো। নিলাম অযোগ্য কন্টেনার চট্টগ্রাম বন্দরের বোঝা। করোনার পরিস্থিতির অবনতির সময়েও কাস্টমস ২৯৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পুনরায় ধ্বংস কার্যক্রম শুরু করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামগড়ে নৌকার মনোনয়ন পেলেন কামাল
পরবর্তী নিবন্ধধোয়ামোছার কাজ শেষ, চলছে ডাইনিং-ওয়াশরুম প্রস্তুতি