“জন্মের পর থেকেই আমরা দেশ থেকে কিছু না কিছু নিয়েছি কিন্তু এবার দেশকে দেয়ার পালা। দেশকে কিছু দিতে হবে এই ধ্যান-ধারণা আমাদের সবারই থাকতে হবে।”
আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এই কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “দেশের উন্নয়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তাঁকে সবার সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই দেশকে কিছু দিতে পেরেছি বলে আমরা তৃপ্তি পেতে পারি।”
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে এবং ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাইনুল হোসেন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা এবং কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. নাসির উদ্দিন।
স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চেয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান, আব্দুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন হাওলাদার, ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুর রশিদ কাদেরী, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং, উপজেলা স্কাউটসের সম্পাদক মাহবুব হাসান, কর্ণফুলী নালন্দা বিহারের অধ্যক্ষ ক্ষেমানন্দ ভিক্ষু, ভাইজ্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমাসহ অনেকে।
বক্তারা সবাই কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণার দাবি জানান। বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিপুল পরিমাণ জায়গা অলস পড়ে আছে। সেইসব জায়গা উদ্ধার করে আশ্রয়ন প্রকল্প সহ জনস্বার্থে ব্যবহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও বক্তারা অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, “এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে গত ৭ মাসে কেউ আমার কাছে আসেনি। আজ সমস্যাগুলো শুনেছি। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিস্টদের সাথে কথা বলে পুরো বিষয়টা আগে বুঝে নেব। পরবর্তীকে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সকলের সাথে আলোচনা করে সেই পদক্ষেপ নেব।
জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ওয়াগ্গাছড়া চা বাগান, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল, বাংলাদেশ স্কাউটস, উপজেলায় অবস্থিত বৌদ্ধ বিহার, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপসমূহের বিষয়েও কথা বলেন।
প্রত্যেক সংস্থা ও দপ্তরের সার্বিক উন্নয়নে তিনি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখার আশ্বাস দেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এবং কিন্নরি হল উদ্বোধন করেন।