মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত ৩১ বছর বয়সের এই ব্যক্তির বিদেশ সফরের কোনও ইতিহাস নেই। ভারতে কেরালা রাজ্যের পর এবার মাঙ্কিপক্স থাবা বসিয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত এক রোগীর খোঁজ মিলেছে রোববার। এনডিটিভি জানায়, ৩১ বছর বয়সের এই ব্যক্তির বিদেশ সফরের কোনও ইতিহাস নেই। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকদিন আগে হিমাচল প্রদেশের মানালিতে একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিম দিল্লির এই বাসিন্দা তিনদিন আগে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার জ্বর ছিল এবং শরীরে পক্সের মতো র্যাশ ছিল। খবর বিডিনিউজের।
শনিবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। পরে রিপোর্ট আসে তিনি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে লোক নায়ক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজধানীতে মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এবং অধিবাসীদের আতঙ্কিত না হতে বলেছেন। এক টুইটে তিনি বলেন, দিল্লিতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত প্রথম একজন রোগী পাওয়া গেছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা লোক নায়ক জয় প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে আলাদা একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড খুলেছি। দিল্লিবাসীদের সুরক্ষায় এবং রোগ মোকবেলায় আমাদের সবচেয়ে দক্ষ টীম কাজ করছে। এ নিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত মোট চারজন মাঙ্কিপঙ রোগী শনাক্ত হল বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে কেরালা রাজ্যে তিন মাঙ্কিপঙ রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। গত ১৪ জুলাই ভারতের কেরালায় প্রথম মাঙ্কিপঙ রোগীর সন্ধান মেলে।
ওই ব্যক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেরালায় ফিরেছিলেন। এরপর ১৮ জুলাই আবার কেরালাতেই দ্বিতীয় মাঙ্কিপঙ রোগী পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তিও দুবাই থেকে কেরালার কান্নুরে ফিরেছিলেন। আর তৃতীয় মাঙ্কিপঙ রোগীর সন্ধান মেলে গত ২২ জুলাই। মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির মাঙ্কিপঙ আক্রান্ত হন। তিনিও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেরালার মাল্লাপুরমে ফিরেছিলেন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে বিমানবন্দরগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। ওদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবারই মাঙ্কিপঙকে বিশ্ব জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বিশ্বজুড়ে ৭৫টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পঙ। আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,০০০ ছাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ জন মারাও গেছে।












