সাতকানিয়ায় পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে তরল দুধের প্যাকেট এবং গাড়ির অতিরিক্ত চাকায় লুকিয়ে রাখা পানির কয়েল পাইপের ভেতর থেকে ২১ হাজার ৬ শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
এসময় তিন ইয়াবা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার ও ইয়াবা বহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ জুলাই) ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট গরুর বাজার ও সাতকানিয়া রিসোর্ট এলাকায় পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আজ ভোর পাঁচটার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে পিকআপ যোগে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানার এসআই তাপস চন্দ্র মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ তাৎক্ষণিক সাতকানিয়া রিসোর্ট এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশি শুরু করে।
এক পর্যায়ে নম্বর বিহীন একটি পিকআপকে সিগন্যাল দিয়ে থামনোর পর তল্লাশিকালে অতিরিক্ত চাকার ভেতর কৌশলে নেয়া পানির কয়েল পাইপের ভেতর থেকে ১৭ হাজার ৪ শত ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসময় ইয়াবা বিক্রেতা ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগর খেজুরটেক এলাকার লিয়াকতের বাড়ীর আবুল হাশেমের পুত্র জাহিদুল ইসলামকে(২২) গ্রেপ্তার ও ইয়াবা বহনের কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
এদিকে, এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই তাপস চন্দ্র মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ কেরানীহাট গরুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির ডেস্কবক্সের ভেতর থাকা তরল দুধের প্যাকেট থেকে ৪ হাজার ২ শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
এসময় ঢাকার ধামরাই সুঙ্গর এলাকার আবদুস সোবাহানের পুত্র মো. ওয়াসিম (৩০) ও একই এলাকার আরশাদ আলীর পুত্র মোশারফ হোসেনকে(২৮) গ্রেপ্তার ও ইয়াবা বহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই পেশাদার ইয়াবা বিক্রেতা। তাদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আগামীকাল রবিবার আদালতে হাজির করা হবে।