এবার টেস্টে ভারতকে হারানোর স্বপ্ন

চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট শুরু আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতের বিপক্ষে দীর্ঘ সাত বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। যদিও শেষটা রাঙানো হয়নি তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে চরমভাবে বিধ্বস্ত হওয়ায়। তাতে অবশ্য সিরিজ জয়ে কোনো আঁচড় পড়েনি টাইগারদের। ওয়ানডে সিরিজ শেষ। রঙিন পোশাক বদলিয়ে এবার সাদা পোশাকের পালা। আজ থেকে শুরু বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। এর মধ্য দিয়ে তিন বছর পর দুদল টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি হচ্ছে। ২০১৯ সালে ভারত সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। আর সে দুই টেস্টের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর ছিল না টাইগারদের। কারণ দুটি টেস্টেই বাংলাদেশ দল হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। তবে এবারে নতুন যাত্রা। কিন্তু সে যাত্রায় কতটা সফল হবে বাংলাদেশ সে প্রশ্নও থেকে যায়। যদিও ইতিহাস এবং রেকর্ড কোনোটিই কথা বলে না বাংলাদেশের পক্ষে।

ভারতের বিপক্ষে ১১ টেস্টের একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। হেরেছে ৯টি ম্যাচে। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। তাও সেগুলো বৃষ্টির কল্যাণে। তবে এখন নতুন যাত্রা। যদিও সে যাত্রায় বাংলাদেশ দল পাচ্ছে না দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে। ইনজুরির কারণে তিনি দলের বাইরে। আশা করা হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টে তাকে পাওয়া যাবে। প্রথম টেস্ট শুরুর আগেও দুঃসংবাদ রয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। পেসার তাসকিন আহমেদ নেই এই টেস্টে। সাকিবও রয়েছেন পর্যবেক্ষণে।

তাই কঠিন পরীক্ষার দিনে বাংলাদেশকে ভাবতে হচ্ছে অন্য কিছু নিয়ে। চট্টগ্রামে বরাবরই বাংলাদেশের জন্য লাকি গ্রাউন্ড। কিন্তু এবারে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেটা হলো না। তবে টেস্ট সিরিজে নতুন করে শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। দলের কোচ এবং অধিনায়ক দুজনই চান ভাল কিছু করতে। দলে ফেরানো হয়েছে সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল হককে। রয়েছেন সাদমান, জয়, রাব্বি, সোহান, সাকিব, লিটন, মুশফিক, শান্তরা। দলে প্রথমবারের মত জায়গা পাওয়া জাকির হাসানের উপরও আস্থা রয়েছে কোচের।

আজ তার অভিষেকও হতে পারে। গত কয় টেস্টে পেসারদের নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তাই এই টেস্টেও পেসারদের দাপট থাকবে সেটা বলাই যায়। খালেদ, রাজা, এবাদত, শরীফুলরা প্রস্তুত নিজেদের সেরাটা দিতে। স্পিনে বরাবরের মতই ভরসার জায়গা তাইজুল এবং সাকিব। সে ক্ষেত্রে মিরাজের একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ ভারতীয়রা স্পিন খেলতে সিদ্ধহস্ত। দলে রয়েছে অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি, কে এল রাহুল, পূজারা, শুভমান গিলের মত ক্রিকেটার। বল হাতে আগুন ঝরাবেন ভারতের পেসাররা।

সিরাজ, উমেষ যাদব, মোহাম্মদ শামি, শার্দুল ঠাকুররা রয়েছেন দলে। স্পিন আক্রমণে ভারতের প্রধান অস্ত্র দুই অভিজ্ঞ অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। সাথে রয়েছে অক্ষর প্যাটেলের মত তরুণ। তাই ভারতের এই অভিজ্ঞ দলের সাথে লড়াই করাটা বেশ কঠিনই হবে বাংলাদেশের। তার উপর জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং প্যারাডাইজে ভারতের ব্যাটসম্যানদের নিয়ন্ত্রণ করাটাও বেশ কঠিন হবে। তারপরও বাংলাদেশ চাইছে ধীরে ধীরে ভারতের পথ চলা পর্যবেক্ষণ করে তবেই নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে।

কারণ অভিজ্ঞ ভারতের বিপক্ষে খেলাটা নিঃসন্দেহে কঠিন। তারপরও বাংলাদেশ জবাবটা সঠিকভাবেই দিতে চায়। এখন মাঠে কতটা দেখাতে পারে টাইগাররা সেটাই দেখার অপেক্ষা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্ল্যাটের ভিতর ১৭১ বোতল বিদেশি মদ, গ্রেপ্তার এক
পরবর্তী নিবন্ধবর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মী নিয়োগে চলে ঘুষ স্বজনপ্রীতি : টিআইবি