এবার ঘুচবে পানির দুর্ভোগ

প্রতিদিন সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ ।। পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প স্টেশনের উদ্বোধন কাল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্পে উৎপাদিত দৈনিক সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি আগামীকাল শনিবার থেকে পেতে যাচ্ছে ইপিজেড-বন্দর-পতেঙ্গাবাসী। আগামীকাল ‘পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প স্টেশন’ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পানি হাহাকার ঘুচতে যাচ্ছে। এখন থেকে নিয়মিত পানি যাবে ইপিজেড-বন্দরসহ পতেঙ্গার সর্বশেষ প্রান্ত পর্যন্ত।
নগরীর সর্ব দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান পতেঙ্গা উপকূলীয় এলাকার। এই এলাকায় এতদিন ওয়াসার পাইপ লাইন থাকলেও এলাকাবাসী নিয়মিত পানি পেত না। পানির জন্য সারাবছরই হাহাকার লেগে থাকত। এর প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম ওয়াসা চিটাগাং ওয়াটার সাপ্ল্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীনে মদুনাঘাট পানি সরবরাহ প্রকল্পটি গ্রহণ করে। মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হচ্ছে। এই প্রকল্পের অর্ধেক পানি (সাড়ে ৪ কোটি লিটার) ইপিজেড-বন্দর ও পতেঙ্গা এলাকায় সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। অবশিষ্ট অর্ধেক পানি (সাড়ে ৪ কোটি লিটার) বহদ্দারহাট থেকে আন্দরকিল্লা-বাকলিয়া-খাজা রোড, ডিসি রোড, খাতুনগঞ্জ, কালামিয়া বাজার এবং বহদ্দারহাট থেকে তেলেপট্টি মোড়, আরাকান হাউজিং সোসাইটি-চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা হয়ে মোহরা পর্যন্ত যাচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও চিটাগাং ওয়াটার সাপ্ল্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম।
গতকাল তিনি আজাদীকে জানান, মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্পের সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি বন্দর-পতেঙ্গাবাসী পাচ্ছে। শুধুমাত্র ইপিজেড-বন্দর-পতেঙ্গা এলাকার জনগণের পানির দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য আমরা ওই এলাকায় দৈনিক সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি পাম্পিং ক্ষমতা সম্পন্ন পতেঙ্গা বুস্টিং পাম্প স্টেশন স্থান করেছি। ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম মহোদয় এই বুস্টিং পাম্প স্টেশনের উদ্বোধন করবেন। পাম্প স্টেশনের পাশে আমরা একটি রিজার্ভার করেছি। রিজার্ভার থেকে পানি পাম্পিং করে পতেঙ্গার শেষ প্রান্তে নিয়ে যাব। ২৪ ঘণ্টা পাম্পিং করা হবে। বিদ্যুৎ না থাকলেও শক্তিশালী জেনারেটরের মাধ্যমে পাম্পিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। আগে পতেঙ্গা এলাকায় পুরনো একটি পাম্প হাউজ রয়েছে। সেটির পাম্পিং ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি লিটার।
তিনি আরো জানান, ১৮৯০ কোটি টাকার চিটাগাং ওয়াটার সাপ্ল্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীনে দৈনিক ৯ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন মদুনাঘাট শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্প, পতেঙ্গা পর্যন্ত পাইপ লাইন প্রকল্প, কালুরঘাটে ৯ কোটি লিটার বুস্টিং পাম্প স্টেশন এবং পতেঙ্গা সাড়ে ৪ কোটি লিটার বুস্টিং পাম্প স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে কালুরঘাট বুস্টিং পাম্প স্টেশন থেকে পাম্পিং করে সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি পতেঙ্গা বুস্টিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরের কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন ফের বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের সাথে করাচি বন্দরের যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্ব