নগরস্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে শহর থেকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করার আশ্বাস দিয়েছেন চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চারুকলাকে মূল ক্যম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করেন চারুকলাসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ ঘোষণা দেন উপ–উপাচার্য (একাডেমিক)। এ সময় উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন ও প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো প্রকার আন্দোলনে যেতে না হয় তার জন্য সকল প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। আমরা চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে অন্যান্য বিভাগগুলোকে যখন নতুল কলা অনুষদ ভবনে স্থানান্তরিত করব, তখন পুরাতন কলা অনুষদ ভবনে যে জায়গা হবে সেখানে আমরা চারুকলাকে প্রতিস্থাপিত করব।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা আমাদের সময় দাও। এর মধ্যেই আমরা প্রশাসনিক যাবতীয় ম্যাকানিজম সম্পন্ন করার চেষ্টা করব। হয়তো তার আগেও হয়ে যেতে পারে। আমি আশা করছি তোমরা আগামী ১ এপ্রিল থেকে মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারবে। এর আগে এদিন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে চাই। এটা শুধু আমাদের চারুকলার শিক্ষার্থীদের দাবি না, এটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি। আমরা চাই এই বিশাল ক্যাম্পাসে আবারও বিচরণ করতে। ২০১২ সালে চারুকলা শহরে স্থানান্তর হয়। এরপর থেকে আমরা বারংবার আন্দোলন করে আসছি চারুকলাকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার জন্য। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়েও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। এখন আমাদের একটাই দাবি চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে চাই। আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে এখন অন্দোলন স্থগিত করছি, যদি কাজের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি না দেখি আবারো আন্দোলন করবো।