এনসিসি ব্যাংকের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

‘দেশের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের একটি হওয়ার লক্ষ্য’

| বুধবার , ১৮ মে, ২০২২ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

এনসিসি ব্যাংকের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার ঢাকায় এনসিসি ব্যাংক ভবনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় ব্যাংকের ভাইসচেয়ারম্যান তানজীনা আলী, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম, পরিচালক সোহেলা হোসেন, খায়রুল আলম চাকলাদার, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম চৌধুরী, নমিনেশন ও রিমুনারেশন কমিটির চেয়ারম্যান ইতরাত হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নতুন প্রজন্মে গ্রাহক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শীর্ষ ৫ ব্যাংকের একটিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে এনসিসি ব্যাংক লি.। এসময় অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার নাইমুল কবির এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আশেক রহমান, মো. মাহবুব আলম, মো. রাফাত উল্লা খান এবং মো. জাকির আনামসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন ব্যাংকের অন্যান্য শাখা ও উপশাখায় কেক কাটা হয় এবং প্রধান কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার বলেন, ব্যাংক হিসেবে এনসিসি ব্যাংকের যাত্রা ১৯৯৩ সালের ১৭ মে। সে হিসেবে ব্যাংকের বয়স এখন ২৯ বছর। আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিবেচনায় ব্যাংকের বয়স ৩৭ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতিটি ধাপে এনসিসি ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভারী শিল্প, তৈরী পোশাক, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রায় সকল খাতেই এনসিসি ব্যাংকের অবদান রয়েছে। সুশাসন, নৈতিকতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এনসিসি ব্যাংক ইতিমধ্যে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। গ্রাহকের আস্থা নিয়ে এনসিসি ব্যাংক এগিয়ে চলেছে এবং ভবিষতেও এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দেশের ব্যাংকিং সিস্টেম ‘ব্রীক এন্ড মর্টার’ থেকে ভার্চুয়ালে রূপান্তরিত হবে। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবাগুলো দ্রুত গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে এনসিসি ব্যাংক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক পণ্য সেবার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম ও অর্থব্যস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রচলিত ধারার ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি শরিয়াহ্‌ ভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এনসিসি ব্যাংক বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘এনসিসি ব্যাংক এনআরবি গৃহ ঋণ এবং মাইক্রো এটিএম’ নামে ২টি নতুন পণ্যসেবা চালু করেছে। পরিশেষে তিনি এনসিসি ব্যাংকের উত্তরোত্তর সাফল্যের পেছনে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, অংশীজন, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীবৃন্দ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকল্প অনুমোদনে ক্ষমতা কমল পরিকল্পনামন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধ১৫ উপজেলা ও নগরীতে দুই ধাপে শুরু হচ্ছে কার্যক্রম