তিন বছর মেয়াদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং এক ব্যক্তিকে দুইবারের বেশি শীর্ষ পদে না রাখার বিধান রেখে নিজেদের গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির এনসিপি। গতকাল শুক্রবার এনসিপির সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্রটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায় বলে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানান দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন। রাজধানীর বাংলা মোটরে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হয় এ সংবাদ সম্মেলন। সেখানে গঠনতন্ত্রের নানা দিক তুলে ধরে আখতার বলেন, সারা দেশের কাউন্সিলরদের ভোটে স্বতন্ত্রভাবে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। কোনো ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় দুবারের বেশি সাধারণ সম্পাদক কিংবা সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর। মেয়াদের শেষ তিন মাসের মধ্যেই পরবর্তী কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
এনসিপি বলছে, তাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের রাজনৈতিক পর্ষদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আর রাজনৈতিক পর্ষদ নির্বাচিত হবে সারা দেশের কাউন্সিলরদের ভোটে। এই পর্ষদ হবে ১১ থেকে ১৫ সদস্যের, যেখানে অন্তত তিনজন নারী থাকবেন। এই রাজনৈতিক পর্ষদই হবে দলের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ ফোরাম। কেন্দ্রীয় কমিটি, অঙ্গ সংগঠনের নির্বাহী কমিটি ও জেলা মর্যাদার কমিটির পাঁচজন করে সদস্য, উপজেলা এবং থানা পর্যায়ের কমিটির দুজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠন করা হবে জাতীয় কাউন্সিল। সভাপতি, সহ–সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলী, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাধারণ সদস্য এবং ক্ষেত্রবিশেষ জেলা সভাপতির সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি বলছে, নিবন্ধনের আবেদন করার ব্যাপারেও গতকাল শুক্রবারের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিবন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পড়েছে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম–আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম–সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসার ওপর।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম আদীব, সামান্তা শারমিন, সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসউদ উপস্থিত ছিলেন।