এনসিপি চায় শাপলা ও ইসির পুনর্গঠন

শেষ দিনে নিবন্ধন পেতে হিড়িক, দেড়শ নতুন দলের আবেদন

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২৩ জুন, ২০২৫ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়ে প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। সেই সঙ্গে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনও দাবি করেছে দলটি। নিবন্ধন আবেদনের শেষ দিন গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ এনসিপির আবেদন জমা দেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ায়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

বিকাল ৪টার দিকে জনা পঞ্চাশেক নেতাকর্মীসহ এনসিপি প্রতিনিধিদল নির্বাচন ভবনে আসে। পরে নির্বাচন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডেসপ্যাচ শাখায় গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন তারা। আবেদনপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আখতার হোসেন বলেন, আমরা ইসি কর্মকর্তাদের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করে এমন সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা এনসিপির দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছি। তিনটি প্রতীকের কথা আবেদনে বলা হলেও ইসি শাপলা প্রতীককে এনসিপির প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেবে বলে প্রত্যাশা রাখেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

নাসীরুদ্দিন পাটোওয়ারী জানান, শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ প্রতীক হিসেবে চেয়েছে এনসিপি। এর মধ্যে শাপলাই বরাদ্দ পাবেন বলে তারা আশাবাদী। তিনি বলেন, এনসিপি নিবন্ধন পাবে এবং শাপলা প্রতীকে জয় করা হবে আগামী নির্বাচনে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে জয়ী হয়ে এনসিপি সরকার গঠন করতে পারবে বলে তিনি দাবি করেন। বর্তমান ইসির পুনর্গঠনের দাবি আবারও তুলে ধরে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা এখনও দাবি করছি বর্তমান ইসির পুনর্গঠন করতে হবে। এ ইসি পুনর্গঠন হতে হবে এবং পুনর্গঠন হবেই। আমরা ‘বি’ অপশনে যাচ্ছি না। আর কোনো বিকল্প নেই।

শেষ দিনে দেড়শ নতুন দলের আবেদন : ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন আবেদন করার শেষ দিনে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর হিড়িক পড়েছে। নিবন্ধন পেতে এবার দেড়শ নতুন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টিএনসিপি ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিও রয়েছে।

নিবন্ধন প্রত্যাশী দলের চেয়ারম্যান, মহাসচিবও যেমন সশরীরে আসেন, তেমনি দলীয় নেতাকর্মীদের ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে আসতে দেখা যায়। আবেদন জমা দিয়ে কেউ কেউ সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের প্রতীক ও দলের নাম যেমন তুলে ধরতে চান, তেমনি অনেকে চুপচাপ আবেদন জমা দিয়ে চলে যান। দলগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটির রয়েছে বাহারি নামও। সবার দাবি, নির্বাচন কমিশনইসির সব শর্ত পূরণ করেই নিবন্ধন আবেদন করা হচ্ছে। তাদের দল নিবন্ধন পাবেই।

এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীত্বের পক্ষে ২৭ দল, বিপক্ষে বিএনপিসহ ৩ দল
পরবর্তী নিবন্ধমার্কিন শুল্কের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বিএনপি : খসরু