বিভিন্ন জায়গায় ‘বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়ে এনসিপি বৃহত্তর ঐক্য বিনষ্ট করে আগামী নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি বলেন, কক্সবাজারে বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যে বিভ্রান্তির ইন্দন সৃষ্টি করা হয়েছে সেটাকে আমরা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছি। ষড়যন্ত্র করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে এনসিপি। কোনো কারণ ছাড়াই তারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। যদি কারণ থাকতো তাহলে সেটা আমরা চিন্তা করতাম। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে দেশে নতুন ষড়যন্ত্র সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
তিনি গতকাল রোববার সকালে দলীয় কার্যালয় নগরের নাসিমন ভবন প্রাঙ্গণে ‘সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ ও ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন।
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও বৃহত্তর ঐক্য করে দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতনে ঘটিয়েছি। স্বৈরাচারের পতনের পর আজকে বাংলাদেশে সেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনৈক্যের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। বিভিন্ন দল বিভিন্নভাবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করছে এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছে। এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বৃহত্তর ঐক্যকে বিনষ্ট করে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। সামনে এমন আরো অনেক ষড়যন্ত্র হবে, তবে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সব সহ্য করে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করলেও আমরা আশা করছি আগামী রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট এম এ তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, জয়নাল আবেদীন দুলাল, ইউসুফ নিজামী, আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারেক, সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মোহাম্মদ সিদ্দিক, কবির চেয়ারম্যান, আকবর আলি, সেলিম নুর, নাজিম উদ্দিন শাহিন, আনোয়ার হোসেন উজ্জল, সাজ্জাদ হোসেন নুরুদ্দিন, জাহিদুল আফসার জুয়েল, সরওয়ার হোসেন রুবেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদা আক্তার ও মোহাম্মদ আশরাফ উল্লাহ।
