এনসিটি ও লালদিয়ার চর ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, স্কপের গণ অনশন

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও লালদিয়ার চর ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে গণ অনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনশন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্কপের কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার।

টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের খোরশেদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মছিউদ্দৌলা, স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক রিজোয়ানুর রহমান খান, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নুরুল আবসার তৌহিদ, জাহেদ উদ্দিন শাহিন, শানেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ইফতেখার কামাল খান, কাজী আনোয়ারুল হকসহ স্কপভুক্ত শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিইউসির কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু।

বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এনসিটি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সফল কন্টেনার টার্মিনাল। অথচ এটিকে বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও আত্মঘাতী। এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

তারা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে নেয়া এই একতরফা সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহাল রেখেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের কৌশলগত সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার এই চক্রান্ত জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। অনশন কর্মসূচিতে স্কপ নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন, সরকার যদি অবিলম্বে এনসিটি ও লালদিয়ার চর ইজারা বাতিলের ঘোষণা না দেয়, তবে সার্বিক কর্মবিরতি, চট্টগ্রাম হরতাল ও বন্দর অবরোধসহ আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচলতি মাসে টিসিবির পণ্য তালিকায় যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-সাবান
পরবর্তী নিবন্ধইলিশ রক্ষায় ৮ মাস জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা