চট্টগ্রাম লিগ এবং ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মোহাম্মদ রুবেলের অভিষেক হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি–টোয়েন্টিতে। আর অভিষেকেই চমক দেখালেন এই স্পিনার। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। লিগে এটি দ্বিতীয় জয় চট্টগ্রামের। সিলেটে চট্টগ্রাম বিভাগ ৩০ রানে হারিয়েছে রাজশাহী বিভাগকে। আগে ব্যাটিং পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের অধিনায়ক ইয়াসির আলি বলেছিলেন, ১৮০–১৯০ রান করতে চান তারা। কিন্তু ইনিংস থেমে যায় ১৫৫ রানে। রুবেল এর দুর্দান্ত বোলিং এর সুবাদে ১২৫ রান করতে সক্ষম হয় রাজশাহী। নতুন বলে শুরু করা স্পিনার রুবেল ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচের সেরা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম শুরুতেই হারায় মাহমুদুল হাসান জয়কে। নাহিদ রানার বলে সোজা ব্যাটে দারুণ এক ছক্কার পর ওই রানেই বিদায় নেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন দিপু। এই জুটির সময় মনে হচ্ছিল ১৮০ রানের কাছাকাছি চলে যাবে চট্টগ্রাম। তবে তা হয়নি। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে ফিরেন মুমিনুল। আর ৩৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হন শাহাদাত। ইরফান শুক্কুর ১৬ এবং নাঈম হাসান করেন ১৩ রান। পরের দিকের আর কোনো ব্যাটসম্যান পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি। শেষ ৮ ওভারে কেবল ৫৬ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহরব এবং পায়েল। সেই রানকেই যথেষ্টর বেশি প্রমাণ করে ছাড়েন চট্টগ্রামের বোলাররা। যার শুরুটা রুবেলের হাত ধরেই। জবাবে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীর ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান প্রথম ওভারে দুটি চার মারেন রুবেলকে। এরপর সেই ৮ রানেই সোহানকে বিদায় করেন রুবেল। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাব্বির হোসেন চেষ্টা করেন জুটি গড়ার। তবে সাব্বিরকেও ২১ রানে থামান রুবেল। রাজশাহী অধিনায়ক শান্তও ফিরেন ২১ রান করে। এই জুটি ভাঙার পর আর সেভাবে লড়াই জমাতেই পারেনি রাজশাহী। অনেকটা সময় ক্রিজে থেকে ২৩ বলে ২২ রান করে ফিরেন প্রিতম কুমার। শেষদিকে শাকিল ১৫ রানে অপরাজিত থেকে চেষ্টা করলেও তা কোন কাজে আসেনি। এর আগে নিহাদ করেছেন ১২ রান। ফলে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে থামতে হয়েছে ১২৫ রানে। চট্টগ্রামের পক্ষে রুবেল ২৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান, মেহেদী রানা এবং বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। অভিষেকে দারুণ বল করা মোহাম্মদ রুবেল হয়েছেন ম্যাচ সেরা।












