জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি–টোয়েন্টি আসরে জয়রথ ছুটেই চলছে চট্টগ্রামের। টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল ইয়াসির আলি রাব্বির দল। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ ধরে রাখল তাদের অপরাজেয় পথচলা। ম্যাচে ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে দলের জয়ে বড় ভুমিকা রাখেন মাহমুদুল হাসান জয়। এক ম্যাচ আগে ৩৭ বলে ৭১ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। গতকালের ইনিংসে ৬ টি চার ও ৫ টি ছক্কা মেরেছেন জয় ।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা বরিশালের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। প্রথম তিন ওভারে ১৫ রান উঠলেও চতুর্থ ওভারে নাঈম হাসানকে টানা চার বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। ৪.২ ওভারে ৪০ রান উঠে যায় শুরুর জুটিতে। ৮ রান করে রায়ান রাফসান রহমান আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে দলকে এগিয়ে নেন ইফতেখার ও ফজলে মাহমুদ। এক পর্যায়ে বরিশালের রান ছিল ১ উইকেটে ৭০। ২৬ বলে ৩৩ করে ইফতেখারের বিদায়ের পরই উল্টোযাত্রার শুরু। ফজলে মাহমুদ থামেন ২৬ রানে। পরে উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। দল হারায় পথ। শেষ দিকে সোহাগ গাজী ১৪ বলে ১৮ রান করলেও দল থেমে যায় মাত্র ১২৮ রানেই। চট্টগ্রামের পক্ষে মেহেদী হাসান রানা নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ। আগের ম্যাচে অভিষেকে ৩ উইকেট নেওয়া রুবেল নিয়েছেন এক উইকেট।
১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম ছুটে যায় দারুণ গতিতে। ৩.৩ ওভারেই ৪৩ রান তুলে ভাঙ্গে চট্টগ্রামের উদ্বোধনী জুটি। মোমিনুল হক বিদায় নেন ১১ বলে ২২ রান করে। পরে শাহাদাত হোসেন ফিরেন ১০ রান করে। তবে জয় ক্রিজে ছিলেন বলে জয় পেতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামকে। সৈকত আলিকে নিয়ে তিনি দলকে নিয়ে যান জয়ের ঠিকানায়। ২৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সৈকত আলি। আর মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৭১ রান করে। সে সুবাধে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। চার ম্যাচে চট্টগ্রামের এটি তৃতীয় জয়। পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। বরিশাল চার ম্যাচে জিততে পারেনি একটিও।