এনসিএল টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলো রংপুর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল অনুষ্ঠিত ফাইনালে রংপুর ৫ উইকেটে ঢাকা মেট্রোকে পরাজিত করে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রো ১৬.৩ ওভার ব্যাট করে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায়। রান তাড়ায় ৫ উইকেট হারালেও ৫২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল। তারা ১১.২ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ৬৫ রান। বাংলাদেশের মাঠে কোনো টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে একশর কম রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। ২০১৬ সালের বিপিএলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল রাজশাহী কিংস। মেট্রোর বিব্রতকর সমাপ্তির কারিগর মুকিদুল ও আলাউদ্দিন। সবুজের ছোঁয়া থাকা উইকেটে দারুণ সিম বোলিং করে ৩টি করে উইকেট নেন রংপুরের দুই পেসার। ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনালের সেরা হন মুকিদুল। আলাউদ্দিনও ১২ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৯ ইনিংসে ১৯ শিকার ধরে তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ফাইনালে বেশি কিছু করতে না পারলেও আসরজুড়ে ব্যাটে–বলে আলো ছড়ান আবু হায়দার। ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ১৬৪ স্ট্রাইক রেটে ১২৩ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন এই মেট্রো অলরাউন্ডার। টস জিতে মেট্রোকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর অধিনায়ক। মুকিদুলের প্রথম বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ইমরানউজ্জামান। তবে এক বল পর একই জায়গায় ক্যাচ দেন উইকেটরখক–ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে নাঈম শেখকে কট বিহাইন্ড করেন আলাউদ্দিন। রানের খাতা খুলতে পারেননি মেট্রো অধিনায়ক। তবে ৯ ম্যাচে তিন ফিফটিসহ ৩১৬ রান করে বাঁহাতি ওপেনারই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত করেন মুকিদুল। দারুণ ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হন আনিসুল ইসলাম। পরের বলে ক্যাচ দেন আমিনুল ইসলাম। মাত্র ৮ রানে প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় মেট্রো। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে গাজী তাহজিবুল ইসলামও ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। এরপর দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শামসুর রহমান। দুজনের জুটিতে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৭ রান। কিন্তু চল্লিশের আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তারা। দলের সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন শামসুর। পরে আবু হায়দারের ২ চারে ৯ বলে ১৩ রানে মেট্রো কোনোমতে পঞ্চাশ পেরোয়। ছোট লক্ষ্যে রংপুরের শুরুটাও হয় নড়বড়ে। পাঁচ ওভারের ভেতরে ড্রেসিং রুমে ফেরেন চার ব্যাটসম্যান। চতুর্থ ওভারে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাঈম ইসলামকে ফেরান আলিস আল ইসলাম। পরের ওভারে আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউ চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাহজিবুলের দারুণ থ্রোয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায়ঘণ্টা বাজে আকবরের। তবে এরপর তেমন বিপদ হয়নি রংপুরের। চার নম্বরে নেমে একপ্রান্ত ধরে রাখেন তানবীর হায়দার। ১টি করে চার–ছক্কায় ১৪ রান করে ফেরেন আরিফুল হক। পরে এনামুল হককে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তানবীর।