জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমদ ভূঞা বলেন, ‘সরকারি আইনি সহায়তা শুধুমাত্র মামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের আদালতসমূহ মামলার ভারে ভারাক্রান্ত। মামলা জট ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়। আদালতে বিদ্যমান মামলাজট নিরসন বিচার বিভাগ তথা সরকারের বর্তমান একটি চ্যালেঞ্জ। উক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এডিআর কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার মামলায় না গিয়ে দু’পক্ষকে শালিসী প্রক্রিয়ায় একজন বিচারকের মধ্যস্থতায় বিরোধ মীমাংসার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তৎপ্রেক্ষিতে সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার একজন বিচারককে পূর্ণকালীন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। লিগ্যাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় আপস মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি সরকারের একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ। লিগ্যাল এইড অফিসারের মধ্যস্ততায় বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আদালতের মামলাজট নিরসনকল্পে লিগ্যাল এইডের এডিআর কার্যক্রম সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’ তিনি গতকাল ৩১ জানুয়ারি বিকাল ৪.৩০ টায় জেলা জজ আদালত চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির ১ম মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) শাহনেওয়াজ মনিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–০১ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) মুরাদ–এ মাওলা সোহেল, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামসুল
আরেফীন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান, যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন, বিজ্ঞ শিক্ষানবিশ সহকারী জজ তাফসীর হোসেন, নুরুল্লাহ সিদ্দিকী ও আলিম উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি প্রসিকিউশন নিশান চাকমা, জেলা পিপি এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চসিক সংরক্ষিত কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসী, জেলা সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. মো. নুরুল হায়দার, সিনিয়র জেল সুপার মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের সদস্যবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমুখ। সভায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে বিগত তিন মাসের সফল ইন্টার্নশিপের সমাপ্তিতে সাউর্দান ইউনির্ভাসিটির আইনের ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম এবং পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে এম আসিফ ইকবালকে সনদ ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।