প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম গতকাল ঘোষিত বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, বাজেট দেখে মনে হয়েছে এটা অর্থনীতিবিদের দেয়া বাজেট, ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রীর দেয়া বাজেট নয়। তিনি বাজেটে অনেক বড় বড় কিছু চ্যালেঞ্জ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, যদি চ্যালেঞ্জগুলো বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে অবশ্যই আমরা প্রশংসা করতে বাধ্য হবো। তিনি গতকাল ঘোষিত বাজেটকে একটি সংকোচন মূলক বাজেট হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।
বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এটা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এটি করতে পারলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে। জিডিপি ৮ শতাংশ থেকে ৯.৫ শতাংশে উন্নীত করার যে কথা বাজেটে বলা হয়েছে তাও অনেক কঠিন কাজ। এটাও বাস্তবায়িত হলে সাফল্য আসবে। ঋণ জিডিপি ৫ শতাংশের বেশি থেকে নামিয়ে ৪.৬ শতাংশে আনার কথা বলা হয়েছে। এটি অনেক কঠিন হবে। আয় বাড়ানো না গেলে এই ঘাটতি কমিয়ে আনা একটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। সরকার এতে কতটুকু সফল হতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি কর বাড়ানোর ফলে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়বে বলে উল্লেখ করে বলেন, এতে রাজস্ব আয় বাড়লেও ওইসব পণ্য ব্যবহারকারীদের আগের থেকে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। ব্যক্তি আয়করে তেমন কোন পরিবর্তন আনা হয়নি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে সাধারণ করদাতারা উপকৃত হবে। কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। যাতে সরকারের আয় বাড়বে। যে যে কোন কর বাড়ানোর একটি প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের হাতে এর কোন বিকল্পও ছিল না বলেও খ্যাতিমান এই অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করেন। সবকিছু মিলে সংকোচনমুলক এই বাজেট অত্যন্ত ভালো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।