দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন সাব্বির রহমান। একসময় তাকে নিয়ে ছিল বড় আশাও। অথচ সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছেন সাব্বির রহমান। স্রোতে হারানো এই ক্রিকেটার হয়তো অনেকের কাছেই দৃশ্যপটেও নেই। এমনকি গত বছর সুযোগ পাননি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)। এবার অবশ্য ড্রাফট থেকে তাকে দলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। দলটির হয়ে ভালো কিছু করার প্রত্যয় জানিয়েছেন সাব্বির। গতকাল বুধবার মিরপুরে তিনি কথা বলেছেন জাতীয় দলে ফেরা প্রসঙ্গেও। সাব্বির বলেন জাতীয় দলের জন্য তৈরি তো অবশ্যই হচ্ছি। বয়স তো এখনও বাকি আছে আমার। চেষ্টা করছি কামব্যাক করার। এজন্যই মাঠে আসছি, অনুশীলন করছি। বিপিএলে সুযোগ পেয়েছি, বাইরের দেশে খেলতে যাচ্ছি। আশা তো সবাই করে। আমার পরিবারও করে, আমিও করি। আশাটা পূরণ হবে ভালো খেলার পরে। চেষ্টা করব ভালো খেলে আবার কামব্যাক করার জন্য। জাতীয় দলের হয়ে ১১টি টেস্ট, ৬৬ ওয়ানডে ও ৪৮ টি–টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছেন সাব্বির। ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি ম্যাচ এখন অবধি বাংলাদেশের হয়ে তার শেষ। ফেরার পথ কতটা কঠিন একজন ক্রিকেটারের জন্য সেটাও বেশ ভালই জানেন সাব্বির।
সাব্বির বলেন বিষয়টা হচ্ছে আপনি কোথায় অনুশীলন করতে চান। যদি মিরপুরে করেন, তাহলে এটা অসম্ভব। কারণ এখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা থাকে। এই সুবিধা যদি সব বিভাগে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। যারা ত্রিশ জনের বাইরে থাকবে বা পাইপলাইনের বাইরে থাকবে। তারা সেখানে মাঠ, উইকেট ব্যবহার করতে পারবে। মেশিন বা স্ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে। আমি নিজের খরচে স্ল্যাব কিনেছি। মেশিন ব্যবহার করেছি। উদীয়মান যারা আছে তাদের হয়তো সেই সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। আমার মনে হয়েছে এই পরিকল্পনাটা সব বিভাগের জন্য করা উচিত। যেন এই সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে কামব্যাক করতে পারে। আমি মিরপুরে আসতে পারি না, কারণ এখানে অনেক বুকিং থাকে। এক ঘণ্টা বা আধঘণ্টা অনুশীলন করে মজা পাওয়া যায় না। আমি সারা দিন অনুশীলন করতে চাই। এখানে সারাদিনের অনুশীলন হবে না। তাই আমি নিজের শহরে এই সেট–আপ করি। সারাদিন সেখানে অনুশীলন করি। আমি এটা নিজের মতো করে করে ফেলি। এই সেট–আপ যেন সব বিভাগে হয়।
কিছুদিন আগেই লঙ্কা টি–টেন লিগে খেলে এসেছেন সাব্বির। দুয়েকটি ম্যাচে পারফরমও করেছেন। ওই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিপিএলের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। তার আশা এবার তেমন চাপে থাকবেন না তিনি। সাব্বির বলেন প্রমাণতো এর আগেও করেছি অনেকবার। তবে নিজেকে মেলে ধরাটা আমার নিজের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলঙ্কায় একটা বড় টুর্নামেন্ট খেলে এসেছি। আশা করি নার্ভাস হবো না। দুই–একটা ভালো রান করতে পারলে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। দলের যে দায়িত্ব থাকবে সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব। ‘টি–টেন লিগের খেলাটা বিপিএলে অনেক বড় কাজে দেবে। সেখানে যে দায়িত্বে খেলেছি, এখানে ৫–৬ নম্বরে হয়তো খেলব। অনেক বড় দায়িত্ব হবে আমার জন্য। আত্মবিশ্বাসটাও ভালো হবে ।