এখন করণীয় কী? শরিকদের নিয়ে তারেকের বৈঠক

| শনিবার , ৯ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় কী হবে তা নিয়ে আন্দোলনের শরিক জোট ও দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল শুক্রবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকটি হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং করণীয় বিষয়ে আলোচনার কথা বলা হলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি বৈঠকে অংশ নেওয়া কোনো নেতা। খবর বিডিনিউজের।

জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও নির্বাচন আয়োজনের সময় ঘোষণার পর শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে মঙ্গলবার ২৮ দফা জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। একই দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। জুনে লন্ডনে মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর আসা যৌথ ঘোষণায় ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথাই বলা হয়েছিল। জামায়াত বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা না বলে নির্বাচন আয়োজনের সময় ঘোষণায় তারা বিস্মিত।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জামায়াত জরুরি বৈঠক করে সাত দফা দাবি জানিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় শরিক জোট ও দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তারেক রহমান।

বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ১২ দল নিয়ে ১২ দলীয় জোট এবং ১১ দল নিয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে অংশ নেয়। বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নিজ নিজ জোটের নেতৃত্ব দেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিএলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

দুই জোটের অন্য নেতাদের মধ্যে বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নুরুল আমিন বেপারী, ইসলামী ঐক্যজোটের এমএ রকিব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টিজাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

১২ দলীয় জোটের শরিকরা হলো জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জাগপার একাংশ, লেবার পার্টির একাংশ, কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক পার্টি, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শরিকরা হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জাগপার একাংশ, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা, সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট একাংশ, পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিডিএ-চসিকের ঠেলাঠেলিতে বাড়ছে জনদুর্ভোগ
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি