এক্সিট খুঁজছি না, বাকি জীবন দেশেই কাটাব : রিজওয়ানা

সেফ এক্সিটের বিষয়টি নাহিদকেই পরিষ্কার করতে হবে

| বৃহস্পতিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

উপদেষ্টাদের অনেকে সেইফ এক্সিট খুঁজছেন বলে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিনি কোনো এক্সিট’ খুঁজছেন না। তিনি বলেছেন, এর আগেও বহু ঝড়ঝঞ্ঝা এসেছে, ওই ঝড়ঝঞ্ঝা প্রতিহত করে দেশে থেকেছি। বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটাব আপনাদের সঙ্গে। গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক পরিবেশ উপদেষ্টার কাছে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য তাকেই প্রমাণ করতে হবে। এটা আমার বিষয় না, ওই বক্তব্য খণ্ডানোরও বিষয় না। বক্তব্য সুনির্দিষ্ট হলে হয়ত সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলা হত। এটা হয়ত তাদের ধারণা, তারা মনে করেন। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার কোনো বিষয় নেই। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা নানা বিষয়ে নানা কথা বলে যাচ্ছে, এটা তাদের অধিকার। এটাই গণতন্ত্রের চর্চা, এতে সরকারের প্রতিক্রিয়া দেখানোর কিছু নেই। প্রতিটি বিষয় নিয়েই যদি আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাই, প্রতিটি বিষয় নিয়েই যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলো আমরা কখন চালাব? অন্য রাজনৈতিক দলের মত নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও (এনসিপি) সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এখন এটা উনি (নাহিদ ইসলাম) অভিমান থেকে বলেছেন, নাকি কোনো একটা ব্যাপারে ওনার ক্ষোভ আছে, এই বিষয়গুলো উনাকে পরিষ্কার করতে হবে। উনি যদি কখনো কোনো বিষয় পরিষ্কার করেন, তখন সেটা নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে। তার আগে সরকারের বক্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল দাবি করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শুধু সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চাচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। সব রাজনৈতিক দলও আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে। এজন্য তারা (রাজনৈতিক দল) তাদের কার্যক্রমও শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি ইলেকশন হবে, এখানে প্রশ্নবোধক চিহ্ন তোলার আর কোনো সুযোগ বা অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করছি না।

সংস্কারবিচার নিয়ে তিনি বলেন, এগুলো চলমান প্রক্রিয়া, বিচার বিচারের মত চলছে। বিচার কীভাবে চলছে, সেটা সবাই প্রত্যক্ষ করতে পারছেন। সরকার চায় সুবিচার নিশ্চিত হোক। বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের যে কমিটমেন্ট সেটাও আমরা দেখিয়েছি। যখন দেখেছি একটা ট্রাইব্যুনালের ওপর চাপ বেশি পড়ে যায় তখন আমরা আরেকটা ট্রাইব্যুনাল করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য নিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, বলা যাবে না। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্যের বাস্তবায়ন কেমন করে হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নানা অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, দুয়েকটা অপশনের দিকে রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সমর্থন দিয়েছে। আপনি যদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটা প্রশ্নের সমাধান চান, সেটায় আপস অ্যান্ড ডাউন হবেই। স্মুথ যাওয়ার সুযোগ নেই। স্মুথ যেটা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে আলোচনা, সবাই আলোচনায় আসছেন, সবাই মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু পরিবর্তন কী করে হবে, সেখানে রাজনৈতিক ডিবেট থাকবেই। সেখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণের পথে কোনোকিছু যেন অন্তরায় না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে যতভাবে সহায়তা করা দরকার, সরকার তা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএপিক হেলথ কেয়ারের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন
পরবর্তী নিবন্ধস্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের ইন্তেকাল, আজ জানাযা