‘বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলার ছাত্রসমাজ আত্মদান করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। রক্তরাঙা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তের প্লাবনের মধ্য দিয়ে আজ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় আসনে আসীন। একুশের চেতনা অন্যায় ও বৈষম্য প্রতিরোধের প্রেরণা। একুশের চেতনা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার ও সম–অধিকারের ভিত্তি রচনা করেছে। সর্বশেষ ২০২৪–এর জুলাইয়ে সংঘটিত ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান একুশের সেই চেতনাকে নতুনভাবে সামনে নিয়ে এসেছে।’
গত শুক্রবার চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সদ্য ঘোষিত নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সকাল আটটার দিকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক রিজাউর রহমানের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ আহবায়ক কমিটি। এর আগে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকা থেকে প্রভাত ফেরি করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদ মিনার এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক রিজাউর রহমান, সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ, মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা, উত্তর জেলা আহ্বায়ক ইয়াছির আরফিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জোবাইর হোসেন, মহানগরের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রাশেদুল আলম, মহানগর যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফরহাদ বিন হাবিব ইমন, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব মো. রইছ উদ্দিন ও তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় তারা বলেন, একুশের চেতনা আমাদের শিখিয়েছে–অধিকার আদায়ে জনগণের ঐক্যই মূল শক্তি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যেমন তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল, তেমনই ২০২৪–এর জুলাইয়ে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেও ছাত্রসমাজ ছিল নেতৃত্বে। এ আন্দোলন প্রমাণ করে যে, ইতিহাসের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে তরুণরাই পরিবর্তনের পথ দেখায়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর এবং দক্ষিণ জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।