নগরীর আন্দরকিল্লা ও টেরিবাজার এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের সাত নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে কোতোয়ালী থানা এলাকার মোহাম্মদ ইমাম রাসেলের স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ছিনতাইয়ের শিকার খাদিজা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মো. ইমাম রাসেলের স্ত্রী। তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রহিমা বেগম (২৫) ববিতা বেগম (৩৫) পাপিয়া (৪০), সাথী আক্তার শান্তা (২৮), রিমা আক্তার (২৫), বিলকিস বেগম (২৫), রুমা আক্তার (২০)। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে বলেন, খাদিজা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। তিনি চাঁদপুর থেকে এসে চট্টগ্রাম কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টার নীলাচলে স্বামীর বাসায় থাকছেন। সকালে তিনি স্বামীসহ তাদের দুই বছর পাঁচ মাস বয়সী মেয়েকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে টিকা দিতে নিয়ে যান। দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কিছুদূর হেঁটে রাস্তা পারাপারের সময় সাত নারী খাদিজাকে ঘিরে ধরে। তার হাত থেকে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে নেয়। তার চিৎকার শুনে পথচারী ও টহল পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের কয়েকজনকে ধরে ফেলেন এবং ব্যাগটি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় ছিনতাই মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের বাকি সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি মহসীন বলেন, গ্রেপ্তার সাত নারী সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সদস্য। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তারা একসাথে ঘোরাঘুরি করে। একা নারী পেলে জটলা তৈরি করে ছিনতাই করে। নির্জন স্থানে একা পুরুষ পেলেও বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে ছিনতাই করে।
তারা মূলত আন্দরকিল্লা, টেরি বাজার ও নিউমার্কেট এলাকায় বিভিন্ন নারীকে টার্গেট করে। আটককৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।