নগরীর মুরাদপুরের ফুটওভার ব্রিজে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ব্রিজটিতে বর্তমানে লোকজনের ওঠানামার ব্যবস্থা একমুখী রয়েছে। এটিকে দুইমুখী করে দেয়া হলে অনেক বেশি জনবান্ধব হবে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে বছর দেড়েক আগে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১০ ফুট প্রস্থের ১১০ ফুট লম্বা ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করে। মুরাদপুর মোড়স্থ বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে অপর পাড়ে পুলিশ বক্সের পাশে গিয়ে ব্রিজটি রাস্তায় নেমেছে। ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পর মুরাদপুর মোড়ে রাস্তার উপর ডিভাইডার দিয়ে এপাশ থেকে ওপাশে পারাপারের পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে বাধ্য হয়ে মানুষকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হচ্ছে। রাস্তা পারাপারে হাজার হাজার মানুষ ফুটওভার ব্রিজে উঠে যাওয়ায় নিচে রাস্তাটি বেশ ফাঁকা হয়ে উঠে। হাত উঁচিয়ে কিংবা লাফিয়ে লাফিয়ে রাস্তা পারাপারে যান চলাচলে যে বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করতো তার স্থায়ী অবসান হয়েছে। এতে করে দিনভর স্থবির হয়ে থাকা মুরাদপুর মোড়ে কোনও যানজট থাকে না, দিনভর স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলে। ব্যস্ততম সড়কের মুরাদপুর মোড়ের যানজটের সমাধান হয়ে যাওয়ায় ব্রিজটির ব্যাপারে সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু ব্রিজটিতে সড়কের উভয়প্রান্তে ওঠানামার জন্য একমুখী সিঁড়ি দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ব্রিজটি রাস্তার দুইপাড়েই গিয়ে একমুখী হয়ে নেমেছে। যে সিঁড়ি দিয়ে মানুষ একই সাথে ওঠানামা করে। ফলে প্রতিদিন মানুষকে ঠেলাঠেলিও করতে হয়। ব্রিজটির মূল অংশ ঠিক রেখে যদি ওঠানামার সিঁড়িতে উভয়প্রান্তে আরো একটি মুখ দেয়া যায় তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কমতো।
সিডিএ সূত্র বলেছে, স্টিল স্ট্রাকচারের ব্রিজটির উভয়প্রান্তে নতুন মুখ বের করা যাবে অনায়াসে। এতে খুব বেশি টাকাও ব্যয় হবে না। মুরাদপুর মোড়ে সড়কের উভয়প্রান্তে ব্রিজের নতুন সিঁড়ি নামানোর মতো জায়গাও রয়েছে। শুধু সদিচ্ছা থাকলেও ব্রিজটির নুতন মুখ বের করে জনদুর্ভোগ স্থায়ীভাবে কমানো যায় বলেও স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন।
সিডিএর সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী বলেছেন, আমরা একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫৫ লাখ টাকা খরচ করে ব্রিজটি করে দিয়েছিলাম। এখন নতুন করে আরো একটি সিঁড়ি করতে গেলে নতুন প্রকল্প নিতে হবে। সিডিএ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে ফুটওভার ব্রিজটিতে নতুন সিঁড়ি যুক্ত করা যাবে বলে তিনি জানান।