একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও হারল বাংলাদেশের যুবারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৮ মে, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তান অনূর্ধ্ব১৯ দলের বিপক্ষে চরম ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব১৯ দলের। চারদিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হওয়া এই সিরিজেরর শুরুটাও হয়েছিল স্বাগতিকদের হার দিয়ে।এরপর ওয়ানডে সিরিজ এবং সবশেষ টিটোয়েন্টি সিরিজেও হারল টাইগার যুবারা। ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ দল। শেষ পর্যন্ত সিরিজের একমাত্র চিটটোয়েন্টি ম্যাচেও টাইগার যুবারা হারল ৪ উইকেটে। এর ফলে সবকটি সিরিজই জিতেছে পাকিস্তান যুবারা। একমাত্র আনঅফিসিয়াল টেস্টে ১০ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। পরে ৫ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ হারে ৪১ ব্যবধানে। এবার টিটোয়েন্টিতেও হেরে শেষ হলো স্বাগতিকদের হতাশার সিরিজ।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ওপেনার জিসান প্রথম বলেই জীবন পান। আমির হাসানের বলে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি কিপার মির্জা সাদ। এরপর আর পেছনে তাকাননি জিসান। ২৪ বলে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর চমৎকার এক ক্যাচে তাকে ফেরান তৈয়ব আরিফ। নবম ওভারের প্রথম বলে ফেরার আগে ২৬ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫২ রান। আর সে সাথে বাঙ্গে ৭২ রানের জুটি। তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক আহরার আমিন রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩ টি ছক্কায় ১০ বলে ২০ রান করে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর আরিফুল ইসলমের ২৫ বলে ৩০ ও আশিকুর রহমানের ১২ বলে ১৮ রানের সুবাধে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের যুবারা। পাকিস্তানের পক্ষে ২টি উইকেট নেন আমির হোসাইন।

১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। প্রথম ওভারের শেষ বলে আউট করেন দারুণ ছন্দে থাকা শাহজাইব খানকে ফেরান ইকবাল। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। তিন নম্বরে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি অধিনায়ক সাদ। ১৬ বলে ২৪ রান করে ফিরেন তিনি। চার নম্বরে নামা তৈয়ব ১৬ রান করতে খেলেন ১৯ বল। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানতে থাকেন শামিল। তার সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে আরাফাত মিলে ৩৩ বলে যোগ করেন ৫৬ রান। ১৫ রান বাকি থাকতে ২২ বলে ৪১ রান করে আরাফাত ফিরলেও দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যান ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা শামিল। ১৯তম ওভারের শেষ বলে থামে তার ৪৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। তবে এতে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। আলি আসফান্ড ৪ বলে ৬ রান করে দলকে জিতিয়ে ফিরেন। বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন নেন ৩ উইকেট। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়েছেন পাকিস্তানের শামিল হুসাইন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ঢাকা যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা দল