কাপ্তাই ও রাঙ্গুনীয়া উপজেলায় ভারী বৃষ্টি হলেই কর্ণফুলী নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। আর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে লিচুবাগানে ফেরী চলাচলের পন্টুন পানিতে তলিয়ে যায়। সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ফেরী চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে এবং সকল প্রকার যানবাহন পারাপারেও সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ। যাত্রীবাহী বাস চালক মো. সোনা মিয়া বলেন, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ওখাগড়াছড়ি জেলায় চলাচলের জন্য কর্ণফুলী নদীর উপর প্রতিষ্ঠিত লিচুবাগান ফেরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফেরীর উপর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। তবে বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই ফেরীর পন্টুন পানিতে ডুবে যায়। বিশেষ করে ফেরীর লিচুবাগান অংশ সবসময় পানিতে তলিয়ে থাকে। অনেক সময় পানি বেশি হলে ফেরী চলাচলও বন্ধ থাকে।
রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ধনা মেম্বার বলেন, লিচুবাগান ফেরির উপর দিয়ে কাপ্তাই, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাজস্থলীসহ বিভিন্ন এলাকার যানবাহন প্রতিদিন নিয়মিত চলাচল করে। এছাড়াও কঙবাজারের অনেক গাড়িও এই পথে চলাচল করে। ভারী বৃষ্টিতে ফেরীর পন্টুন ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো ২/৩ দিনও ফেরী চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষকসহ বেশ কয়েকজন পথচারী বলেন, আমরা বিগত ৩০ বছর ধরে লিচুবাগানে একটি সেতুর জন্য দাবি করে আসছি। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে লিচুবাগান ফেরী গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু নির্মিত হয়নি। এখানে সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এরকম ভোগান্তি সবাইকে পোহাতে হবে বলেও স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, গবেষণা কাজের অগ্রগতি হিসেবে দ্রুত যোগাযোগ অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু লিচুবাগান ফেরীর কারণে আমরা জরুরিভাবে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি না। বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ ফেরীতে ইতোমধ্যে সেতু নির্মিত হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করলে লিচুবাগান ফেরী স্থানীয় উন্নয়নে অপরিহার্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু নির্মিত না হওয়ায় তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।