বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশে প্রথমবারের মতো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ও সামাজিক বৈষম্যের উর্ধ্বে রূপান্তরকামী নারী তাসনুভা আনানের হাত ধরে এসেছে সে আনন্দের খবরটি। ঘুনধরা এ সমাজে যেখানে সুস্থ, স্বাভাবিক প্রতিটি নারীই নানাভাবে বঞ্ছনা, লাঞ্চনার শিকার হয় সেখানে শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে জন্মানো মানুষগুলোর পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে বঞ্চনার ইতিহাসটি বেশ দীর্ঘ। এতোদিন ধরে তারা কতোটা অবহেলার শিকার হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
বৈশাখী টিভি তাসনুভার মতো একজন মানুষকে সংবাদপাঠের মতো একটি সৃজনশীল কাজে যুক্ত করে যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ করে দিলেন। পাশাপাশি তাকে আত্মবিশ্বাসও আত্মসম্মান অটুট রেখে সমাজে একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরী করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নিঃসন্দেহে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্র আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ দিয়েছে তা হলো তারা লিঙ্গিক পরিচয় ব্যতিরেকেই ভোটাধিকার লাভ করার সুযোগ পেয়েছে। এতে দেরিতে হলেও সবার মনের চোখ উন্মোচিত হয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করার সময় এগিয়ে এসেছে বলে মনে করি । একজন মানুষ তাঁর অন্তর্নিহিত প্রচেষ্টা ও যোগ্যতা বলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেই। তাসনুভা তার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। একেকজন তাসনুভা জন্ম থেকেই একজন যোদ্ধা। সেসব যোদ্ধাদের কখনো হেরে যাওয়া উচিত নয়। ৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাসনুভার সংবাদ পাঠের এবং কাজের স্বীকৃতির প্রথম দিন। তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। আর তাদের দুঃসহ জীবনের কঠিন পথ চলাতে সমাজ যদি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, সহমর্মিতা দেয় তবে সবাইকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধির পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে সোনার বাংলায় পরিণত হবেই।