চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, চুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সংগ্রাম এবং একতাবদ্ধতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে , একটি জাতি পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি তরুণ সমাজের হাতে। এই আন্দোলনে আমাদের চুয়েটের অসংখ্য শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। আমাদের শিক্ষার্থীদের এই অসামান্য অবদান আমাদের গর্বিত করে। চুয়েটের শিক্ষার্থীরা যেভাবে চট্টগ্রাম ও ঢাকার আন্দোলনকে বেগবান করেছে, নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবিদার। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপরও চালানো হয়েছিল অবণর্নীয় নির্যাতন। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি এরকম উদ্দীপ্ত, সচেতন এবং সাহসী থাকে, তবে চুয়েট কেবল এগিয়েই যাবে না বরং আমাদের দেশও একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। আমাদের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে এবং আগামী প্রজন্মকে সেই মানসিকতা নিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার চুয়েটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে সভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম। বক্তব্য রাখেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ। চুয়েটের সমন্বয়ক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কারা নির্যাতিত ছাত্র ইসফাক আহমেদ জীম, এমআইই বিভাগের ছাত্র সাদ বিন মোস্তফা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক তাসমিয়া বিনতে হাই। শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।