ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনের বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে রাঙামাটির কয়েকটি এলাকার হাজারো মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়।
গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের শুরুতেই কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের এ পদক্ষেপে ভোগান্তিতে পড়েন কাঁঠালতলী, ফিশারি ও পৌর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। প্রথমে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বললেও পরে দুঃখ প্রকাশ করেন রাঙামাটির বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী দুজনই। খবর বিডিনিউজের।
জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের বিপরীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের বিদ্যুতের পিলার তারসহ স্থানান্তরের জন্যই এসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। দুপুর ১২টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যা ৭টায় সংযোগ ফিরে পান স্থানীয়রা। এসব এলাকায় আবাসিক ভবন ছাড়াও ছিল বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, পত্রিকা অফিসসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।
বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি শহরের কাঠালতলি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনের একটি বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর অনমুতি দেন নির্বাহী প্রকৌশলী। সাধারণত এসব কাজ ছুটির দিনে করা হয় এবং আগেই মাইকিং করে এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার তা করা হয়নি।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান জানান, আবেদনকারীরা তাড়াহুড়া করায় এবং চাপ দেওয়ায় দ্রুত কাজটি করতে গিয়েই কোনো নিয়ম মানা সম্ভব হয়নি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। রাঙামাটি পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দুঃখ প্রকাশ করে নির্বাহৗ প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের অবশ্যই আগে জানানো দরকার ছিল, কিন্তু আবেদনকারীদের তাড়ার কারণে আমরা সেটা করতে পারিনি। এতে এলাকার মানুষ কষ্ট পেল, আমি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।