ড. মাহবুবুল হক একজন ভাষাবিজ্ঞানী, সমাজ সংস্কারক, উদারচেতা দার্শনিক। বই পড়া আর বই গড়ার রূপকারে চিন্তা চেতনা সৃষ্টির তুঙ্গে জাগা ধ্রুবতারা। কত বইয়ের পাতায় পাতায় বিচরণ করে করে খুঁজেছে নির্ভুল উপাত্ত। গড়েছে ঠিকানার পাহাড়। প্রকৃত মানুষ সমাজ ও প্রজন্মকে সঠিক তত্ত্ব ও তথ্যে এগিয়ে নিতে প্রাণান্তকরণ ভাবেন। তিনি যদি একজন শিক্ষক হন প্রজন্মের জন্য আকুল দায়বদ্ধতা তার থাকে। এভাবে ড. মাহবুবুল হক গড়েছেন মানুষের বিবেকের জন্য প্রজন্মের জন্য প্রচলিত প্রথাকে সংস্কারের বিনির্মাণে গ্রন্থ। গড়েছেন মানুষ ও সমাজের প্রকৃতিস্থ বাঁচা বাড়ার বাস্তবিক সঠিক সিদ্ধান্তের রূপরেখা। তিনি প্রবন্ধ রচনা করতে করতে কখনও কখনও শিশু কিশোরদের কথাও ভেবেছেন লিখেছেন। তাঁর মনের ভাব ভাষা বোধ সৃষ্টির বৈচিত্র্য বিষয়াবলীর রূপ তিনি গল্প গপ্প ও ছড়ার মধ্য দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন। তাঁর লেখনীর ধারে শৈল্পিক শিল্পের অবয়ব উম্মোচিত হয়েছে। তাঁর বোধ ধারণা বিশ্লেষণ ভাবনার শেকড় থেকে মানুষ আবার রস আস্বাদন করছে। নিজের ভিতর সংস্কারের, বোধের, জানার, জ্ঞানের, বিবেকের ধার বিকশিত করছে শুদ্ধ ও সত্যের পথে। তার প্রত্যেকটি বই প্রজন্মের বিবেকে সংশোধনীর অশনিসংকেত জাগিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। কর্ম ও কীর্তিতে মানুষ হয় মহীয়ান। আর সঠিক চেতনার প্রতিফলনে, সমাজ পরিবর্তন ও বিবর্তনে, দেশ ও মানুষকে ভালবাসায়, যার বিশেষ ভূমিকায়, যার উপাত্ত হৃদয়ে গ্রহণক্ষম করে মহীরুহ তৈরি করতে পারে। তাকে আরো প্রেরণায় উজ্জীবিত করার জন্য তার হাতে স্বীকৃতি পদক তুলে দেওয়া তা দেশের জন্য জাতির জন্য লেখকের জন্য গর্বিত পাটাতন। যিনি দেশের জন্য মানুষের জন্য সমাজের জন্য কাজ করেন প্রাণের টানে। চোখের সামনে জনগণের সামনে যদি সেই গুণ সমাদৃত হয় তাহলেই সার্থক জীবন। ড. মাহবুবুল হক এর জীবন সার্থক। আমরা তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।