দেশের সবচাইতে ধনী ক্রীড়া সংস্থা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। দেশে সবচাইতে বেশি ইভেন্ট চর্চা হয় এই সংস্থায়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার মত কোন ক্রীড়াবিদ পাওয়া যায়না। ফুটবল এবং ক্রিকেট বাদ দিলে বাকি যেসব ইভেন্ট আছে সেগুলো হচ্ছে একরকম সকাল বিকাল লিগ। কোনটি সকালে শুরু হয় বিকেলে শেষ হয়। আবার কোনটি আজকে শুরু কালকে শেষ। আবার একই খেলোয়াড় একাধিক দলে খেলার মত রেকর্ডও আছে এই সংস্থার বিভিন্ন ইভেন্টের লিগে। যে কারণে জাতীয় পর্যায়ে কোন সাফল্যতো দূরের কথা দল পাঠাতেও কষ্ট হয়। এই যেমন আজ আরচ্যারি খেলতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা দল। যেখানে খেলোয়াড় একজন। আর একজন ম্যানেজার। গতকাল জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ম্যানেজারের নাম দেওয়া হলেও খেলোয়াড়ের নাম দেওয়া হয়নি। এখন কি কর্মকর্তারা নাম জানেনা নাকি লুকিয়েছেন সেটা অবশ্য জানা যায়নি। জানা গেছে সে খেলোয়াড়ের নাম মোঃ লিটন। গত এক বছর সে কোথাও খেলেনি। খেলবেই বা কোথায় গত এক বছরেতো কোন লিগ বা টুর্নামেন্ট হয়নি চট্টগ্রামে। যদিও আগের বছরের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ছয় জনের দল পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা। কিন্তু এবারে একজনকে পাঠাতে পারছে গর্বের সাথে। আবার সে খেলোয়াড়ও খেলেনি গত এক বছরে। নানা উৎস থেকে খবর নিয়ে জানা গেছে চট্টগ্রামে যে সব আরচ্যারি খেলোয়াড় রয়েছে তারা চট্টগ্রাম আরচ্যারি ক্লাব নামে একটি ক্লাবের সাথে জড়িত। এই ক্লাবটি আবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নিবন্ধিত দল। তারা আবার জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে খেলোয়াড় দিতে চায়না। ফলে একজন অখ্যাত খেলোয়াড় নিয়ে চট্টগ্রামের মত একটি দল যাচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের কোন ইভেন্টে খেলতে। গত দুই দিন আগে ঘোষনা করা হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২৪টি সাব কমিটি। অথচ এই সাব কমিটিতে জায়গা পাওয়ার জন্য কত তোড়জোড়। কিন্তু মাঠের খেলায় ঐসব কর্মকর্তারা আবার একেবারে পেছনের সারিতে। চট্টগ্রামের মত একটি জেলার জার্সি গায়ে কোন খেলোয়াড়টি যাবে জাতীয় পর্যায়ে সেটা কর্মকর্তাদের ভাবা উচিত বলে জানিয়েছেন সাবেক এক জাতীয় ক্রীড়াবিদ। তবে কে শুনে কার কথা। চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের পদের জণ্য যতটা দৌড়ঝাপ তার সিকিভাগও যদি খেলাধুলার জণ্য করতো হয়তো অণ্যরকম হতে পারতো চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন।