প্রিয় ‘আজাদী’
আছ তুমি কেমন? নিশ্চয়ই খুব ভালো। ভালো থাকবেই না কেন বলো তো? তোমার যে জন্মদিন চলছে। পুরোমাস জুড়েই চলছে তোমার জন্মদিন, তোমার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ৬৫ তে পর্দাপণ করলে তুমি ‘আজাদী’। প্রতিদিন তোমাকে নানা পেশার, নানা শ্রেণির মানুষ কত শুভেচ্ছা, কত অভিবাদন জানিয়ে যায়। কত জনের ভালোবাসায়, কত জনের আবেগে আপ্লুত হচ্ছো তুমি।
আমি জানি তুমি বয়সে, অভিজ্ঞতায়, জ্ঞানে আমার থেকে অনেক বড়, অনেক অভিজ্ঞ তারপরও তোমাকে ‘তুমি’ বলে ডাকতে আমার ভীষণ ভালো লাগে, ভীষণ আপন মনে হয়। আচ্ছা, তোমার কি অভিমান হয় তুমি করে ডাকলে! তা তুমি গাল ফুলিয়ে যতই অভিমান করো না কেন তোমাকে কিন্তু আমি তুমি করেই বলব, বুঝলে!
চট্টগ্রামের আস্থা, বিশ্বস্ততা, ও নির্ভরতার এক বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছ ‘আজাদী’। প্রতিদিন ভোরবেলা তুমি ঘরে আসো নীরবে, তোমাকে হাতে পেয়ে আমরা তুষ্ট হই, একেকজন হয়ে উঠি সকালের রাজা, মহারাজা। তোমার প্রতিবাদী লেখনী, সত্য অন্বেষণ, অন্যায়কে রুখে দেওয়া, নবীনদের অনুপ্রেরণা, প্রবীণদের অভিজ্ঞতার কদর করা সকল কিছুই আমাদেরকে সাহস দেয়, নতুন স্বপ্ন দেখায়, নতুন আলোর পরশ বুলিয়ে যায় জীবনে। তুমি চট্টগ্রামের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তুমি রয়েছ প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে, প্রতিটি ঘরে ঘরে। চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে শুরু করে অফিসের বসের কক্ষে পর্যন্ত তুমি বিদ্যমান। তুমি শুধু একটি কাগজ কিংবা একটি পত্রিকাই নও; তুমি একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সংগঠন, একটি পরিবার। যেখানে সবাই সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বিশ্বস্ত, পরম আত্মীয়, যা রক্তের সম্পর্ক থেকেও মূল্যবান। সেখানে সকলের মধ্যে মায়ার বন্ধন বিরাজমান। যেখানে সকলেই একে অপরের পরিপূরক।
‘আজাদী’ আজ আর নয়। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই তোমাকে। তোমার এগিয়ে যাওয়ার পথ হোক আরও মসৃণ, আরও সমৃদ্ধ। ‘চট্টগ্রাম আর আজাদী’ ছিল, আছে, থাকবে। তুমি চট্টগ্রাম মানুষের প্রাণের স্পন্দন, হৃদয়ের গুঞ্জন। তোমাকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য যাঁরা তোমার অভিভাবক ছিলেন, যাঁরা আছেন তাঁদের সকলের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তোমার সফলতা, দীর্ঘায়ু কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি ‘আজাদী’। ভালো থেকো সবসময়।