বোলাররা পারেনি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের রাশ টেনে ধরতে। ব্যাটসম্যানরা কাবু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে। ফিল্ডাররা ছিলেন এলোমেলো। কোথায় ত্রুটি খুজবেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তারপর্র তার দাবি ভালো বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফিল্ডিংয়ে বাড়তি কিছু বাউন্ডারি দেওয়া আর ব্যাটিংয়ে একই ভুল বারবার করাতেই দল হেরেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। হ্যামিল্টনে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ প্রথম ওভারে এক রান দিয়ে নেন ফিন অ্যালেনের উইকেট। পরে মার্টিন গাপটিলকেও ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু অন্য বোলাররা পারেননি নাসুমের সঙ্গে তাল মেলাতে। নিউজিল্যান্ডের রান তাই ছাড়িয়ে যায় ২০০। পরে ব্যাটসম্যানরাও পারেননি চ্যালেঞ্জ নিতে। ৮ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ দল। লেগ স্পিনার ইশ সোধির দুই ওভারেই জোড়ায় জোড়ায় পড়ে চার উইকেট। সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন আমার মনে হয় আমাদের সুযোগ ছিল। শুরুতে আমরা দুটি উইকেট নিয়েছি। রান রেট সাতের নীচে ছিল। কিন্তু ডেভন কনওয়ে যেভাবে ব্যাটিং করেছে সে খুব সাবলীল ছিল।
মাহমুদউল্লাহ বলেন বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। তাই বোলারদের দোষ দিতে পারছি না। ফিল্ডিংয়ে কিছু বাড়তি বাউন্ডারি হয়েছে আমাদের। ১৯০ রানের আশেপাশে হলে সেটি তাড়া করে জেতা যেত। কিন্তু একসঙ্গে বেশি উইকেট হারানোর পর আর মাচ জেতা যায় না। আমরা এটাই করছি। একই ভুল বারবার করে চলেছি। টাইগার অধিনায়ক বলেন টি-টোয়েন্টিতে ১০০-১২০ রানে অল আউট হতেই পারেন। কিন্তু অন্তত জয়ের তাড়না যদি দেখানো যায় তাহলে সুযোগ থাকে। বাংলাদেশ সেরকম কিছু দেখাতে পারেনি। এই সিরিজে বাংলাদেশ পাচ্ছে না সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিকে হারের দায় না দিয়ে তরুণদের জন্য বড় সুযোগ বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ। আমার মনে হয় এটি তরুণদের জন্য ভালো একটি সুযোগ ছিল। মাহমুদউল্লাহ বলেন আমরা হয়তো সবসময় সব অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে পাব না। এর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কাউকে এগিয়ে আসতে হবে এবং দেখাতে হবে যে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য তার আছে।
