স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার নিশ্চিত করে দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক, সুশাসিত ‘নতুন বাংলাদেশ‘ বিনির্মাণে রাষ্ট্রকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে কৌশলগত নয়টি সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ–টিআইবি। রাষ্ট্রকাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে কৌশলগত বিষয়ের সন্নিবেশনে অন্তবর্তীকালীন সরকারের জন্য এই সুপারিশমালা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল বুধবার ঢাকার ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশগুলো তুলে ধরে টিআইবি। খবর বিডিনিউজের।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থায়ী করা, দলীয় মনোনয়নে এক–তৃতীয়াংশ তরুণদের জায়গা দেওয়া, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে গণ–অনাস্থা আনার ব্যবস্থা রাখার কথা বলছে টিআইবি। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্তভাবে সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একই ব্যক্তি একইসঙ্গে সরকারপ্রধান (প্রধানমন্ত্রী), দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা থাকতে পারবেন না এবং দুই মেয়াদের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না– এমন বিধান সৃষ্টির পরামর্শ দিচ্ছে টিআইবি।