সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাট-বন্দর লিংক রোড সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের ১৯৪ দশমিক ১৮ একর খাস জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরে উচ্ছেদকৃত জায়গায় লাল পতাকা ও সতর্কতা নোটিশ টাঙিয়ে দেয়া হয়। অভিযানের সময় ওই জমিতে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালিত বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁসহ প্রায় একশ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই শাখাওয়াত হোসেন, ভাটিয়ারী ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. নুরুল আহসান, সার্ভেয়ার অহিদুর রহমান প্রমুখ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম জানান, উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট-বন্দর লিংক রোড এলাকার পাশে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কয়েকশ একর খাসজমি দখল করে সেখানে রেস্টুরেন্ট, হোটেল, সমিতিসহ নানান ব্যবসা পরিচালনা করছিল স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের এসব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশও দেয়া হয়। কিন্তু তারা তাতে গা করেনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশনায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে শুকতারা রেস্তোরাঁ নামের একটি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ ও পরবর্তীতে এর উত্তর পাশে গড়ে উঠা অন্যান্য দোকান, সমিতিসহ প্রায় একশ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে মোট ১৯৪ দশমিক ১৮ একর জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় যার বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
শুকতারা রেস্তোরাঁর মালিক কফিল উদ্দিন বলেন, এটা সরকারি খাস জায়গা তা আমি স্বীকার করি। কিন্তু আমার আশপাশে আরও অনেক অবৈধ স্থাপনা আছে, তাদের উচ্ছেদ করা হয়নি। আমাদের উচ্ছেদের আগে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। তারপরও আমরা নিজেরা সরে গেছি এবং উচ্ছেদ কাজে সহযোগিতা করেছি। যদি এই জায়গা কখনো সরকার লিজ দেয় তাহলে আমাদের প্রতি যেন একটু সুনজর দেয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আমরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। যেখানেই অবৈধ দখলদার পাওয়া যাবে সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।